তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি:
সিজিপিএ’র শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে গণঅনশন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ গণঅনশন শুরু করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেবো।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ঢাবি রেজিস্ট্রার ভবনে সেবা দেওয়া হচ্ছে সনাতনী পদ্ধতিতে। ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ হওয়ায় এখনও তাদের বাঁকা চোখে দেখা হয়। তাদের দাবি- নির্ধারিত GPA বা CGPA শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।
অনশনে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, বারবার আমাদেরকে বলা হচ্ছে মিটিং মিটিং, কিন্তু কবে মিটিং শেষ হবে জানি না। আজ ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি ঢাবি।সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ম্যাসের সঙ্গে আমরা সেদিন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছি। তিনি বলেছেন, দেখবেন।
জাহিদ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের ফলাফল দেবার কথা ছিলো তিন মাসের ভেতরে কিন্ত নয় মাস পর ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আমরা যতটুকু জানি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স এর ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের সিস্টেমটা আছে, এবং তা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী দুই বিষয় এবং তিন বিষয়ে পর্যন্ত দিয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা যে CGPA এর শর্ত দিয়েছেন তাতে দেখা গেছে একজন শিক্ষার্থীর একটি বা দুটি বিষয়ে খারাপ হলেও CGPA এর শর্ত পূর্ণ করতে পারছে না? দুই বা তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন দেওয়ার পদ্ধতি থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাহলে কি আপনারা মানন্নোয়ন পদ্ধতি একদম তুলে দিতে চাচ্ছেন? আর সেটা শুধু সাত কলেজের বেলায়?
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমি বরাবরই শিক্ষার্থীবান্ধব। তাদের কথা রেখে এতদিন চলেছি। এখন ঢাবির নিয়মে চলতে হবে আমাদের। আমরা চাই শিক্ষার মানোন্নয়ন। তবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আজ বিকালে একটা মিটিং আছে আমাদের, তারপর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এমআই