মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চুনা খালের উপরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের যুবদের উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে তৈরি হয়েছে ১৩৯ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সেতু।
আর এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে সেতু বন্ধন, কষ্ট লাঘব হয়েছে এলাকার হাজার হাজার পথচারীর। উপজেলা শহরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এলাকার মানুষের। পাল্টে দিয়েছে প্রামীণ জনপদের চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চুনা খালের উপরে নির্মিত সেতুটি সংলগ্নে অবস্থিত ১৮৮ নং পানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ ভাগ শিশু খালের ওপারের গ্রাম গুলো থেকে আসতো। সেতুটি তৈরির আগে পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে।
এর ফলে ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছিল শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা। আশংকাজনক ভাবে কমে যাচ্ছিল স্কুলে উপস্থিতির হার। প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী এ পারের মানুষ যেতে পারতো না ওপারে। মসজিদ ও মন্দিরে যেতে না পারায় ব্যহত হতো এলাকার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রার্থনা।
এছাড়া এক পার থেকে অন্য পারে সাইকেল, ভ্যান মোটরসাইকেল পারাপার না করতে পারায় কোন মানুষ অসুস্থ হলে সাত থেকে আট কিলোমিটার ঘুরে আসতে হতো। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা নেই। তিনি বলেন, সেতুর কারণে মানুষের সময় ও শ্রম দুটোই কমেছে। আগে উপজেলা সদরে উঠতে যে সময় লাগতো এখন তার চেয়ে অর্ধেক সময়ে মানুষ পৌঁছাতে পারছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের প্রতিষ্ঠাতা গাজী আল ইমরান বলেন, একটি ছোট্র উদ্যোগ হাজারো মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারে যা এই সেতুটির মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। এলাকার বাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সুন্দরবন কোয়ালিশনের সহযোগিতায় আমরা দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধনে সেতুটি তৈরি করেছি।
আগে এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ চুনাখাল পারাপারে ভোগান্তিতে পড়লেও তা এখন শান্তিতে পার হতে পারছে। সুন্দরবন কোয়ালিশনের সহযোগিতায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেতুটি বানাতে সক্ষম হয়েছি।
সময় জার্নাল/এলআর