নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমজানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের পাশাপাশি অসম বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় এড়াতে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ
রোববার (১৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে এ অঞ্চলে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাধান এবং স্থায়ী শান্তির জন্য ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘দ্বি-রাষ্ট্র’ তত্ত্ব অনুযায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে আজ ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমজানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়। জবাবে সেদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। শক্তিশালী এসব বোমার আঘাতে ধ্বংস হয় গাজার অনেক আবাসিক এলাকা। বাড়তে থাকে মৃত মানুষের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা এতটাই বাড়ছে যে কবরগুলোতে মরদেহ দাফনের আর জায়গা নেই।
হামাসের হামলার পরপরই গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরায়েল। দুই দিন পর গত সোমবার পুরোপুরি গাজা অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। বন্ধ করা হয় গ্যাস, পানি, খাবার ও জ্বালানি সরবরাহ। জ্বালানির অভাবে গত বুধবার গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জেনারেটর চালিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চলছিল। তবে জ্বালানির যে মজুত ছিল, তা শেষের দিকে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস। চতুর্দিক থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজা অবরোধ করে রাখায় সেখানে কোনো ত্রাণ সামগ্রী বা খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গাজাবাসী।
এমআই