চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী 'কো-ক্রিয়েট ২০৭১' শীর্ষক একটি নীতি সুপারিশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চবি ক্যারিয়ার ক্লাব, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস, অ্যামেরিকান কর্নার চিটাগাং, এডুকেশন ইউএসএ এর সহযোগিতায় উদ্যোগটি নেয় প্রেনিউর ল্যাব।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১০টা থেকে চবির ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী কর্মশালাটি শুরু হয়ে চলে রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
কো-ক্রিয়েট ২০৭১ নীতি সুপারিশ কর্মশালার এক্সপার্ট সেশন, প্যানেল আলোচনা, নীতি সুপারিশ কর্মশালা, সচেতনতার জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি এবং দলগত কাজে চবির মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রেনিউর ল্যাবের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ নুরুন নকিব অনিম এর উপস্থাপনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তাক আল মুজাহিদ জিনিয়াস এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যারিয়ার ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত জাহান নিম্মি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার এবং বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
নীতি সুপারিশ কর্মশালার প্রথম দিনে ব্র্যাকের নলেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমিউনিকেশনস ইউপিজি প্রোগ্র্যাম ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানাজার পলাশ মাহমুদ 'পাবলিক পলিসি ইন বাংলাদেশ' বিষয়ক একটি সেশন পরিচালনা করেন এবং নীতি সুপারিশের উপর একটি দলগত কাজ পরিচালনা করেন।
এছারাও ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য 'ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন' শীর্ষক কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রেনিউর ল্যাবের কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এক্সপার্ট নুরুন নকিব অনিম।
দ্বিতীয় দিনে 'উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা' বিষয়ে কথা বলেন হ্যান্ডিমামা এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ পরান। এদিন তিনি 'দি আর্ট অফ স্টার্টিং অ্যা স্টার্টআপ' নিয়ে একটি কর্মশালা পরিচালনা করেন। যেখানে তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
তাছাড়া 'হায়ার স্টাডি অপর্চুনিটিজ ইন ইউএসএ' এর উপর আরেকটি কর্মশালা পরিচালনা করেন এডুকেশন ইউএসএ এর এডভাইজার সাওদা মেহের।
প্রেনিউর ল্যাবের হেড অফ অপারেশন্স এম আশরাফুল তানভীর তার বক্তব্যে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের বিকাশ ও উন্নয়নে দেশ দুইটির একে-অপরের থেকে এখনো অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
এসময় আয়োজকবৃন্দ দেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিগুলো সম্প্রসারিত করার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এই কর্মশালা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারকদের, বিশেষ করে তরুণদের বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং অর্থপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করবে।
এসজে/আরইউ