শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা আর্টিকেল উনিশ বাংলাদেশ এবং ডয়চে ভেলে একাডেমির যৌথ উদ্যোগে কুবিতে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, জ্ঞাত মতামত প্রচার এবং সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ই অক্টোবর) 'তারুণ্যের কন্ঠস্বর' শীর্ষক এই সেমিনারটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০৩ নাম্বার হল রুমে আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আর্টিকেল উনিশ বাংলাদেশ ও ডয়চে ভেলে একাডেমির একাডেমির প্রতিনিধিত্বকারী ১৫ জন বক্তা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহরাব উদ্দীন সৌরভ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান, সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ সহ বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ডয়চে ভেলে একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার জাহানারা আমির বলেন, 'আমার এখানে তোমাদের শেখাতে নয় এসেছি বইয়ে যা পড় এর বাইরেও সেই জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যম সম্পর্কে জানাতে। আপনাকে কথা বলতে হবে, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে কিন্তু উগ্র কোন আচরণ করা যাবে না।'
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান বলেন, 'বিভাগের প্রথম এমন আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে এই আয়োজন গুলোর ধারাবহিকতা ধরে রাখতে চাই। আর তোমরা এই সেমিনার থেকে যা শিখলে তা বাস্তব জীবনে পজিটিভ ভাবে অনুশীলন করো।'
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহরাব উদ্দীন সৌরভ বলেন 'আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান আহরণের জায়গা। বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ধরণের উন্নয়ন, আন্দোলন, বৈদেশিক ভাব ধারার সাথে একত্রিত হওয়া, জাতীয়তাবোধ সবকিছুর সূতিকাগার কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাসের শুধু একটি বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া হয়। কিন্ত এই বাইরেও আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আর সকল কর্মশালা হলো বাহ্যিক জ্ঞান আহরণের অন্যতম উৎস।'
উল্লেখ্য, আর্টিকেল উনিশ মূলত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে থাকে। ডয়চে ভেলে একাডেমি জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অংশীদার। তারাও মূলত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য কাজ করে থাকে। এর বাইরে বিশ্বের ৭০ টি দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও গণমাধ্যম উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে।
এমআই