জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২১টি আবাসিক হল, অনুষদ ভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এবিষয়ে সরকাররের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল, অনুষদ ভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং গ্রন্থাগারে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হবে। এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ গবেষণা, আইসিটি ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ইন্টার্ণশিপ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। এই যৌথ প্রয়াস জাহাঙ্গীরনগরকে স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে রুপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে শুধু চাকরি পাওয়া নয়, বরং চাকরি দেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমাদের রিজার্ভ মূলত গার্মেন্টস শিল্প ও রেমিট্যান্সের উপর। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে আসলে গার্মেন্টস শিল্পের রপ্তানি সুবিধা অনেকটাই কমে যাবে। তাই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হার্ডওয়্যার প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাওয়ার ও এনার্জি সেক্টরে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। এসময় সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ লাভ করবে। এতে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যে বন্ধন রচিত হলো, তা ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা রাখি। শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার এ প্রস্তাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপ-সচিব মো. সালাউদ্দিন এবং উপ-পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন কোডার ট্রাস্ট-এর সিইও আজিজ আহমেদ।
অনুষ্ঠান শেষে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে 'ইনভিশনিং ফিউচার বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপ-সচিব মো. সালাউদ্দিন এবং উপ-পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। ককর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এমআই