স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বমঞ্চে নকআউট পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি সেমিফাইনাল। তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে একাধিকবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার সুযোগ আসলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রোটিয়ারা। তবে এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠেছে টেম্বা বাভুমার দল। কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অজি বোলারদের তোপে পড়ে কুইন্টন ডি ককরা। দলীয় ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে অভিজ্ঞ ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত শতকে ২১২ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এবারের আসরে ভারতের পর অন্যতম ধারাবাহিক দল দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও গড়েছিল প্রোটিয়ারাই। দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আফ্রিকানরা আজ অজিদের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে। লুঙ্গি এনগিডির পরিবর্তে আজ একাদশে সুযোগ পান তাব্রেইজ শামসি।
ইডেনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অজি বোলারদের তোপে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের শিকার হন বাভুমা। ৪ বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টেম্বা। এরপর তার দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ব্যাটিং পয়ায়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারের ভেতর এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফ্রিকা। দলীয় ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা।
তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন হেনরি ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তাদের জুটি বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। তবে ট্রেভিস হেডের ঘূর্ণিতে ৩১তম ওভারে ৯৫ রানের জুটি ভাঙে অজিরা। এরপর সেই ওভারে মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে ১১৯ রানে ৪ উইকেট থেকে আফ্রিকার ৬ উইকেটের পতন ঘটান হেড।
শেষ দিকে মিলাকে সঙ্গ দেন জেরাল্ড কোয়াটজি। এই বোলারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যান মিলার। শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বলে নিজের শতরান পূরণ করে দলকে লড়াইয়ে পুঁজি এনে দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রান তুলে অলআউট হয়ে দক্ষীন আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ১০১ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। অজিদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন স্টার্ক।
এমআই