নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলমান টেস্টের প্রথম দিনে যে ১৫ উইকেট পড়েছে, তার ১৩টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। সেখানে পেসার টিম সাউদি আবার এমন কী করে বসলেন যে তাকে শিরোনামে আনা যায়! ডানহাতি এই পেসারের প্রথম ইনিংসের বোলিং ফিগার যদি খেয়াল করে থাকেন, আন্দাজ করতে পারবেন কিছুটা।
৫.২ ওভার বোলিং করে সাউদি রান দিয়েছেন যে মাত্র শূন্য। এরকম কিছু কিন্তু এবারই প্রথম ঘটেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এর আগেও কমপক্ষে ৩০টি বল ছুঁড়ে কোনও রান না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ছয়বার। সবশেষ ঘটনাটি যদিও সেই কতকাল আগের কথা। প্রায় ৩৭ বছর আগে, ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার পিটার স্লিপ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ওভার করেও রান দিয়েছিলেন শূন্য।
পিটার স্লিপ ছিলেন স্পিনার। পেসারদের হাত ধরে এরকম ঘটনা সবশেষ এসেছে স্লিপের দশ বছর আগে। ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ডে ৩২টি বল ছুঁড়ে কোনটিতেই রান দেননি ভারতের মদন লাল। সাউদি ও মদন লালের সঙ্গে আর মাত্র এক পেসার পেয়েছেন এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ। ভারতের বিজয় হাজারে তা ১৯৫১ সালে করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে। তবে এই তিন পেসারের মধ্যে সাউদিই একমাত্র- যিনি কমপক্ষে ৩০টি বল ছুঁড়ে রানের ঘর শূন্যতে রেখেছেন, কিন্তু উইকেটের ঘরেও নাম লিখিয়েছেন!
এক্ষেত্রে দুজন স্পিনারদের সঙ্গ যদিও পাচ্ছেন সাউদি। ইংল্যান্ডের জনি ওয়ার্ডল ৫ ওভার বোলিং করে শূন্য রান খরচ করে একটি উইকেটও পেয়েছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৯৫৫ সালে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই এমন কিছুর নজির গড়েন ভারতীয় একজন। বাপু নাদকার্নি ৬.১ ওভারে তা করেছিলেন ১৯৬২ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে।
ওয়ানডেতে কোন বোলারই কমপক্ষে ৫ ওভার বোলিং করে শূন্য রানে ইনিংস শেষ করতে পারেননি। যে সাতজন পেরেছেন তা, সবই টেস্টে। ক্রিকেটবিশ্ব যা প্রথম দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন গোডার্ডের হাত ধরে। ক্যারিবিয়ান এই বোলার ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৬ ওভার বোলিং করে রান দেননি একটিও। একই স্বাদ নিয়ে ইনিংস শেষ করতে পারা সবশেষ বোলার হয়ে গেলেন সাউদি। মুশফিকুর রহিমের 'অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড' আউটের সাথে- মিরপুরে স্পিনের সর্দারির দিনটাকে আরও ঘটনাবহুল করতে সাউদিও রাখলেন ভূমিকা।
এমআই