নিজস্ব প্রতিবেদক:
দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানেগর মধ্য আন্ত- আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। অবকাঠামো সংযোগ অনেকটাই বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হবার পরে চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবার পর এই অঞ্চলে ব্যাবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতায় বিরাট পরিবর্তন আসার পথে। এসব সহযোগিতাকে বাস্তবায়ন করতে হলে আর্থিক সংযোগ আরো বাড়ানোর নীতি তৎপরতার কাজ এগিয়ে চলছে। ভারতের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ও নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সহযোগিতার উদ্যোগকে অর্থবহ করার জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
(২১ ডিসেম্বর) নেপালের রাজধানি কাঠমন্ডুর র্যাডিসন হেটেলে বিএফআইএন আয়োজিত সম্মেলনে মূল বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ড. আতিউর রহমান। সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন নেপালের অর্থমন্ত্রী। নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নরও এতে উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া এই বক্তৃতায় ড. আতিউর রহমান নেপাল ও বাংলাদেশের ক্রমপ্রসরমান বাণিজ্য সহযোগিতার পাশাপাশি বিদ্যুত খাতে সহযোগিতার যে স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে ভারতের সহায়তায় আঞ্চলিক গ্রিড গড়ে ওঠায় নেপাল থেকে জলবিদ্যুত বানিজ্যের নতুন নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।
ড. রহমান একই সঙ্গে বাংলাদেশের সবুজ অর্থায়নের ফসল শত শত লিড সার্টিফাইড সবুজ বস্ত্র কারখানা গড়ের ওঠার উজ্জ্বল সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ এই অন্চলের অন্যতম সফল উদাহরন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে আরও গতিময় করতে এই অঞ্চলের মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও বিরাট সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। আরেকটি অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে তিনি নতুন যুগের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ জনসম্পদ তৈরি এবং ডিজিটাল ভুবনে বিচরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।
এমআই