মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরদিন সোমবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে বিষয়টি সামনে আসে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী লিখেন, ‘সেদিন রাতে (রোববার) লেডিস ঝুপড়িতে আমি ও আমার বাগদত্তা কথা বলার সময় দুইজন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে আমাদের অযাচিত কথাবার্তা ও প্রশ্ন করা শুরু করে। তাদের উত্তর দেয়ার একপর্যায়ে তারা গালিগালাজ দেয়া শুরু করে এবং আমাদের ফোন-পার্স নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
‘তাদের একজন আমাকে বাজেভাবে স্পর্শ করে। ঘটনার এইপর্যায়ে আমাকে ফোনের লক খোলার জন্য হুমকি ধামকি শুরু করে এবং লক না খোলায় আমাকে মারধর করে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘একই কাজ আমার বাগদত্তার সঙ্গেও করে এবং তাকেও মারধর করে। তারা আমার পার্স, তিনটি মোবাইল ফোন ও আমার বাগদত্তার প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে লেডিস ঝুপড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।’ এ বিষয়ে ওই ছাত্রী সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘মেয়েটির দরখাস্ত পেয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দেবে। মেয়েটির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তাকে থানায় যেতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে দোষীদের অবশ্যই আমরা শাস্তির আওতায় আনব।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলামকে সদস্য ও সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
এমআই