সাইদ আহম্মদ, শেকৃবি প্রতিনিধি:
প্রশাসনকে দায়ী করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তার পেট ওয়াশ করে এখন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ওয়ার্ডে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
আত্মহত্যা চেষ্টা করা সেই শিক্ষার্থীর নাম তোফায়েল। তিনি ৭৬তম ব্যাচের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় গত ১৮ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোফায়েল সহ আরো পাঁচজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন তোফায়েল। সেই হাতাশা থেকে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে একটি চিরকুট লিখে একসাথে ১০টা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তোফায়েল।
আত্মহত্যা চেষ্টার আগে তিনি চিরকুটে লেখেন, ‘বিচার কখনোই একপাক্ষিক হলে সেটা সঠিক বিচার হয় না।।। আমার মৃত্যুর জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী’
আত্মহননের চেষ্টার আগে তিনি একটি ফেসবুক পোষ্ট ও করেন তিনি তান ফেসবুক পোস্টে লিখেন
"গুডবাই "।
তোফায়েলের বন্ধুরা জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনায় তোফায়েলসহ ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সে সময় থেকেই তার মানসিক অবস্থা ভেঙে পড়ে। চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে তোফায়েল আহমেদ এ আত্মহত্যার চেষ্টা।বাকিরাও চরম হতাশায় আছে। আমরা এই শাস্তির পুনর্বিবেচনা চাই যাতে কারো লঘু পাপে গুরু দণ্ড না হয়। আমরা আর কোনো সহপাঠীকে হারাতে চাই না। তোফায়েলের সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া রাখবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ বলেন, তোফায়েল এখন ভালো আছে। আমরা রাত একটা পর্যন্ত ছিলাম, পরে তার চাচার কাছে রেখে আসি। বহিষ্কারের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনার বিষয় এখন জানা যাবে না। সে চিরকুটে কি লিখেছে সেটা আমরা জানি না।
সময় জার্নাল/এলআর