নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন শাক-সবজির। ফলে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজেরও। তবে ভরা মৌসুমেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। মুরগির বাজারও চড়া।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৫০-৮০ টাকা। যা গেল সপ্তাহজুড়ে ১০-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিশা শাকের আটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। যা গত সপ্তাহে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে প্রচুর সরবরাহ থাকলেও কমেনি আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়াও রসুন রসুন ২৪০-২৬০ টাকা, আদা ২৪০-২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লা মুরগী ২০০-২১০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩২০-৩৪০ টাকা। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২৫-১৩৫ টাকা এবং ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাদা ডিম।
মাছের বাজারে তেলাপিয়া মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাঙ্গাশ ১৮০-২২০ টাকা। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ।
এমআই