ইবি প্রতিনিধি
শীতকে বরণ করে নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘কুহেলিকা উৎসব’।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়।
উৎসবে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীন ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন আয়োজকেরা। পুরো বটতলা প্রাঙ্গনের সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতির রূপ। উৎসবে বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৩০টি স্টল স্থান পেয়েছে। ভোজন রসিকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও খাবারের দোকান। যেগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন শীতকালীন পিঠা ও মুখরোচক খাবারের সমাহার। এছাড়া রয়েছে ক্যাম্পাসের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীদের কসমেটিকস, শাড়ি, কাঠের গয়না, মাটির তৈরি বিভিন্ন কারুখচিত শখের জিনিসের স্টল৷ পাশাপাশি বইপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বইয়ের স্টল।
এছাড়া এবারের আয়োজনে মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে চিঠিবক্স ও মৌলিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান 'রঞ্জন'। চিঠিবাক্স এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের যেকোনো প্রিয়জনের কাছে চিঠি পাঠাতে পারবেন। এর জন্য নাম, বিভাগ ও ঠিকানা সংবলিত চিঠি লিখে বক্সে ফেললে পরবর্তীতে অভয়ারণ্যের সদস্যরা তা পৌঁছে দিবেন। অন্যদিকে রঞ্জন নামক মৌলিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বরচিত মৌলিক কবিতা, গান, গল্প ইত্যাদি পরিবেশন করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত ছিলো কুহেলিকা উৎসবের প্রথমদিন। ক্লাস-পরীক্ষা ও এসাইনমেন্টের ফাঁকে শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের সাথে আসছেন একসাথে কিছু ভালো সময় কাটাতে। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পছন্দসই পোশাক কিনছেন তারা। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন পেয়ে সকলেই উচ্ছ্বসিত।
কুহেলিকা উৎসবে ঘুরতে আসা বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কুহেলিকা উৎসবের মতো আয়োজন পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ ধরনের আয়োজনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাণবন্ত করে তোলে। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য অভয়ারণ্যকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি তারা আগামীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।’
আয়োজনের বিষয়ে অভয়ারণ্যের সভাপতি ইসতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ৮টি সামাজিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে শীতকে বরণ করে নেওয়ার জন্য এই কুহেলিকা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশা এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বাঙালি সংস্কৃতিকেও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের এবারের আয়োজনের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে চিঠিবক্স এবং রঞ্জন। চিঠিবক্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থিত তাদের যেকোনো প্রিয়জনদের কাছে তাদের অব্যক্ত কথাগুলো লিখে পৌঁছাতে পারবেন। আর রঞ্জনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের লেখা মৌলিক কবিতা, গান, গল্প ইত্যাদি পরিবেশন করা হবে, মৌলিকতা তুলে ধরা হবে।’
উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উৎসবটি উপভোগ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
আরইউ