বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বড় জয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ

বুধবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২৪
বড় জয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:

ভারতের বিপক্ষে পরাজয় দিয়েই চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে গ্রুপ পর্বের পরের ম্যাচগুলোতে জয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকায় টাইগারদের সেমিফাইনালে ওঠা বেশ কঠিন। সুপার সিক্সের দুই ম্যাচে বড় জয় ছাড়া শেষ চারে যাওয়া সুযোগ নেই টাইগারদের। সে সমীকরণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালকে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিশান আলম ও আরিফুল ইসলামের অর্ধশতকে ২৪.৪ ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় লাল সুবুজ জার্সিধারীরা। এতে সেমিফাইনালের দৌড়ে আশা জিইয়ে রাখল টাইগার যুবরা। 

নেপালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আশিকুর রহমান শিবলী ও জিশান আলম। ম্যাচের শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ওপেনার। এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে পাওয়ার প্লতে ৬১ রান যোগ করে। তবে পাওয়ার প্লে শেষে দলীয় ৬৭ রানে শিবলীকে আউট করে ব্রেক থ্রু আনে নেপাল। সাজঘরে যাবার আগে ৩৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন চৌধুরী রিজওয়ান। তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার জিশান। তবে দলীয় ৮৫ রানে রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১ বলে ১৫ রান করেন তিনি। সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার জিশানও, ব্যাক্তিগত অর্ধশতক করে দলীয় ৯২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সাজঘরে যাবার আগে ৪৩ বলে ৫৫ করেন তিনি। 

এতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পরে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিনের ব্যাটে ঘুরে দাড়িয়ে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে আরিফুলের অর্ধশতকে ২৪.৪ ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগার যুবরা। নেপালের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সুবাশ ভান্ডারি।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন অর্জুন কামাল ও বিপিন রাওয়াল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পায়নি নেপালের। উইকেটে থিতু হবার আগেই দলীয় ১৮ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুফ মৃধার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিপিন। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১২ বল ২ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা আকাশ ত্রিপাঠিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি বাইশ গজে।

দলীয় ২৮ রানে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আউট হয়ে প্যাভভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সাজঘরে যাবার আগে ১৩ বলে ৩ রান করেন তিনি। এরপর দলীয় ১ রানের ব্যবধানে রোহানত দৌলা বর্ষণের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কামাল। ফেরার আগে ২৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ফলে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নেপাল।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। এই দুই জনের ৬২ রানেরর জুটিতে এগোতে থাকে তারা। তবে ইনিংসের ২৮তম ওভারে অধিনায়ক দেবকে ৩৫ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন জিশান আলম। এরপর চতুর্থ উইকেট ব্যাট হাতে আসেন গুলশান ঝা। তাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখে বিশাল।

তবে দলীয় ১২১ রানে গুলশান আউট হলে ভাঙে এই ৩০ রানের জুটি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৩ রান করেন তিনি। এরপর তিন রান করে দ্রুত ফিরে যান দীপক বোহারাও। একদিকে যখন আশা যাওয়া মিছিল চলতে ছিলো নেপালের, সেখানে ব্যাট হাতে বিশাল বিক্রম শুধে লড়ে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিশালের ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন  রোহানত দৌলা বর্ষণ।     

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল