জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর থিসিস ও নন থিসিস পর্যায়ের ৮ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসছেন। বৃহস্পতিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় 'চারুকলায় অন্যায় চলে ভিসি স্যার ঘুমাচ্ছেন কেমন করে', 'সন্দেহজনক সিগনেচার শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার,' 'নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে শিক্ষক আসেন ১২টার পরে,' 'কর্মচারী দিয়ে উপস্থিতি প্রশাসনে আছে কি এই রীতি?', 'দিনের পর দিন শিক্ষকের মানসিক অত্যাচার কে করবে এর বিচার?' ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন কলেজিয়েট, ২ জন নন–কলেজিয়েট এবং বাকি ৮ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম উপস্থিতি দেখিয়ে ডিস কলেজিয়েট করা হয়েছে। এই মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জনকে আবার ১ দিনের মধ্যে ফরম পূরণ কর আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে আসতেন অথচ শিক্ষার্থীদের সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকে ক্লাসে থাকতে বলতেন।
অনশনরত শিক্ষার্থী আফরিন বলেন, উদ্দেশ্যেপ্রণিতভবে ডিসকলেজিয়েট করেছেন আমাদেরকে। তারা ১২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে বাকি ৮ জনকে পরিক্ষার দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। উনারা আমাদের উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে পরিক্ষায় না বসার যে পরিকল্পনা করেছেন সেটা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী অনামিকা বলেন, আমরা অনেকবার প্রশাসনের সহযোগীতার জন্য এসেছি। কিন্তু আমরা কোন সহযোগিতা পায়নি। আমরা শেষ অপশন হিসেবে অনশনে বসেছি এবং পরিক্ষা দিতে পারার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন ধরে ডিনের সাথে আমার কথা হচ্ছে। বিষয়টা সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হবে যদি বিভাগের কোনো দায় থাকে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিভাগের অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ডিসকলেজিয়েট হলে শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলবে। এখন তারা তাদের কাজ করছে। আমি তো বাধা দিতে পারি না। এটার সিদ্ধান্ত একাডেমি কাউন্সিল নিবে।
আমার নামে যা ইচ্ছে তা করতে পারে, আমি তো বাধা দিতে পারব না। আমি সময়মত ক্লাস নিয়েছি,সময়মত উপস্থিতে কাউন্ট করেছি। যারা ডিস - কলেজিয়েট হয়েছে তারা আগে থেকে জানে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না। কারণ তারা দেরিতে ক্লাস শুরু করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর