নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে আমদানি করে পণ্য দেওয়া কঠিন। এর জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আগে বাজারে টাকা দিলেও পণ্য পাওয়া যেত না। তবে এখন আর সেই সমস্যা নেই। এখন মানুষের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকলে কাজ করা হচ্ছে। সরবরাহ ব্যবস্থাকে নিরবচ্ছিন্ন করেতে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি: উত্তরণ উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রিজার্ভ নেই, সেটি বলা যাবে না। রিজার্ভে চাপে আছে। ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের অর্থ খরচ করে পণ্য না আনলে রিজার্ভ করে লাভ নেই। রিজার্ভের টাকা খরচ করে পণ্য নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে রমজানে বাজারে পণ্যের সংকট থাকবে না।
এদিকে গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলারের নাম-ঠিকানা, ওজন ও মিলগেট মূল্য লিখে বাজারজাত করার পরিপত্র দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়, যা কার্যকর হবে ১৪ এপ্রিল থেকে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক মাসের মধ্যে চালের বস্তায় ধানের নামের পাশাপাশি উৎপাদন খরচ, ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাবসহ খুচরা মূল্য দেয়া থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে আইনের অভাব নেই, তা প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। কাজেই কেউ যদি মজুতদারি করে বাজার অস্থির করে, তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, পণ্যভেদে ভর্তুকি বেশি দিতে হলে, রাজস্ব আহরণ বেশি করতে হবে। শুল্ক কর কমানো হলে সরকারের বাজেট ঘাটতির আশঙ্কা থাকে।
তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের দাম যেন নিয়মমাফিক হয়, তার দিকে রেগুলেটরি কমিশনের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। বাজারে পণ্য সরবরাহ সঠিকভাবে কার্যকর করতে না পারলে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ করলে বেশি ফল পাওয়া যাবে না। একে অপরকে দোষারোপ করা থেকে বেরিয়ে এসে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।
এমআই