ইবি প্রতিনিধি:
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রজতজয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যস্তময় কর্মজীবনের ফাঁকে পুরনো সহপাঠীদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে শনিবার (৯ মার্চ) বিভাগের সাবেক অর্ধসহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো জড়ো হয়েছেন তাদের সাবেক শিক্ষায়তনে।
সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। র্যালিটি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় র্যালিতে অংশগ্রহণকারী সাবেক-বর্তমান সকলের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। বাদ্যযন্ত্রের তালে নাচে গানে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সকলে। র্যালি চলাকালীন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক।
অনুষ্ঠানে ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আয়োজন দেখে আমি অভিভূত। এমন সুন্দর আয়োজন উপহার দেওয়ার জন্য ছোট ভাই-বোনদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরনো বন্ধুদের আবার কাছে পেয়ে হারানো দিনের সেই স্মৃতিগুলো যেন আবার রঙিন হয়ে উঠলো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তড়িৎ প্রযুক্তির প্রয়োগ ছাড়া সম্ভব না। আপনারাই আগামীর পৃথিবীর নির্মাতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখার যে সুযোগ পেয়েছেন, সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।
পরে বিকালে সাংগঠনিক সভা, র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এর আগে শুক্রবার বিকেল থেকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবন প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার অায়োজন করা হয়। এসময় রজতজয়ন্তীর কেক কেটে ১ম দিনের আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
এমআই