নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত তখন এ ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু। তিনি জানিয়েছেন, নিত্যপণ্যের দাম শিগগির একটি যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।
রোববার (১৭ মার্চ) টিসিবি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই আশার কথা শোনান। এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।
সরকার কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এর প্রয়োগ নেই, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে টিটু বলেন, ‘একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা (যৌক্তিক মূল্য) নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেক দিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয়নি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদফতর, ভোক্তা অধিদফতর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করব। আশা করি, এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদফতর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই অধিদতরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা যেহেতু বাজার মনিটরিং করি, আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করব।’
টিটু বলেন, ‘প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটর করা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানে যাচ্ছি- বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদের এনকারেজ করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা আমরা বাস্তবায়ন করতেছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না।’
টিটু বলেন, ‘যারা একেবারেই আইন মানছেন না, যেমন- পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে, তখন আপনাকে রশিদ রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন, তখন আপনাকে রশিদ দিতে হবে। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনছি।’
এমআই