মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, ‘দুর্যোগ’ ঘোষণার দাবি

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, ‘দুর্যোগ’ ঘোষণার দাবি

সময় জার্নাল ডেস্ক:

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। হিটস্ট্রোকে ঘটছে মৃত্যু। প্রতি বছর বেড়ে চলা এ তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় নেই সরকারের পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ।

তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসক, জনস্বাস্থ‌্য বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে তারা তাপমাত্রা নির্ধারণ করে তাপপ্রবাহকে ‘দুর্যোগ’ ঘোষণারও দাবি জানান।

তারা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেখা দিচ্ছে স্বাস্থ‌্যগত সমস‌্যা। তাই এটি মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনার আওতায় দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। কাজ-কর্মের সময়ে পরিবর্তন আনাসহ কিছু কিছু ছোট উদ‌্যোগের মাধ‌্যমে তাপপ্রবাহের মধ‌্যেও কিছুটা সহনীয় রাখা যেতে পারে জীবনযাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই দেশে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও স্থায়িত্ব বাড়ছে। এটাকে দুর্যোগ ঘোষণা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘হিটস্ট্রোক হচ্ছে, শিশুরা অ্যাফেক্টেড হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষের আয়-উপার্জন কমে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের একটা নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতির ওপরে পড়ছে।’

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো উদ‌্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে দুর্যোগ ব‌্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘সবশেষ ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকে বলছেন তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করার জন‌্য। এটা পলিসি লেভেলের সিদ্ধান্ত।’

আপনারা নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করবেন কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ সচিব বলেন, ‘দেখা যাক। যখন আমরা কথা বলবো তখন এ বিষয়টি উত্থাপন করবো।’

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল