আরমান হোসেন, হাবিপ্রবিঃ
আসন্ন "বি" ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফ্রিতে শরবত বিতরণ করেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি।
প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন।বাহিরে কিছুক্ষণ না থাকতেই ভীষণভাবে পেয়ে বসে পানির তৃষ্ণা। এই তৃষ্ণার্ত সময়ে যেখানে পানি পাওয়াই দুস্কর। সেখানে প্রায় হাজার খানেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফ্রিতে শরবত খাইয়েছে সাংবাদিক সংগঠনটি।শুক্রবার ( ০৩ মে) ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আগত পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ফ্রিতে শরবত খাওয়ায় এই সংগঠনটি।
সাংবাদিক সংগঠনটির এমন সুন্দর উদ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা।
অতীব প্রয়োজনে শরবত দিয়ে তৃষ্ণা নিবারন করতে পারাই সন্তুষ্ট হয়েছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা এসকল মানুষজন। সুবিধাভোগী এক পরীক্ষার্থী বলেন,শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ভাই আপুরা এবং সংগঠনগুলো বেশ আন্তরিক হয়।হাবিপ্রবিতে এসে কথাটির বাস্তব প্রমাণ পেলাম। হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে এভাবে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
পরীক্ষার্থীর সাথে আসা এক অভিভাবক শরবত খেয়ে পরিশ্রান্ত মনে বলেন,হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যেগ নিয়েছে। এই তপ্ত গরমে ঠান্ডা শরবত শরীরটাকে ঠান্ডা করে।শরীর সতেজ না থাকলে যেকোনো মুহুর্তে হিটস্ট্রোক হতে পারে।এমন সঙ্কটময় সময়ে ঠান্ডা শরবত খেতে পেরে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ফ্রিতে শরবত বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. তানভির আহমেদ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা। পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত ভর্তিচ্ছু ও সম্মানিত অভিভাবকদের চলমান তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি দিতে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি এই মহৎকর্মে যুক্ত সমিতির প্রতিটি সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের ইবনে আলী বলেন, হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সকল সদস্যকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে আমরা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। সংশ্লিষ্ট সকলের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগামী পরীক্ষাতেও কার্যক্রম চলমান রাখার পরিকল্পনা রয়েছে
এমআই