সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে সোমবার। আবেদনে ডিজিটালের পরিবর্তে রাখা হয়েছে হাল আমলের সনাতন পদ্ধতি। আবেদন ফরম কিনতে ও জমা দিতে সকল কাজ ফেলে দূরদূরান্ত থেকে ক্যাম্পাসে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হচ্ছে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে।
জানা যায়, সম্প্রতি এম.ফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোমবার (২০ মে) থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এক্ষেত্রে আবেদনপ্রার্থীদেরকে অবশ্যই ২৬ জুন এর মধ্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০জুন এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। তাদেরকে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, ইবি শাখায় বিবিধ রশিদে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তীতে আবেদন পত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।
এ প্রক্রিয়ায় আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ
তাদের জন্য প্রতিবছর এনালগ পদ্ধতির এই আবেদন নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনপ্রার্থীরা নিজেদের সাথে মানিয়ে নিলেও সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন চাকরীরত ভর্তি প্রার্থীরা। ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সিডিউলে মিল না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের একাধিকবার ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে হয়। এতে ইচ্ছা থাকলেও আবেদনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কারণে অনেকে আবেদন করতে আসেন না। ফলে সময়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকের সংখ্যাও কমছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া সেকেলে হওয়ায় দেখা যায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও তারা পরে আর আবেদন করেন না। যার ফলে আমরা গবেষকও কম পাচ্ছি। কিন্তু আবেদনটা যদি অনলাইনে হতো তাহলে আবেদনের সংখ্যাটা অনেক বাড়তো। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই আবেদন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকায়ন করা যায় এমন অনেক বিষয় জানার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় না। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে সেকেলে পদ্ধতিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বেশি পছন্দ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকায়নের দিকে হাঁটছে, সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পিছিয়ে।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, এসব আবেদনতো এখন অনলাইনে সহজেই করা যায়। প্রশাসন যদি আইসিটি সেলকে বলতো তাহলে আবেদন প্রক্রিয়াটা অনলাইনে করে দেওয়া আইসিটি সেলের পক্ষে সহজেই সম্ভব। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। প্রশাসন যেভাবে চেয়েছে সে প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।