নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর তিনটায় বাজেট উপস্থাপন করবেন বর্তমান সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
চলতি বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে এবার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করেছে সরকার। বাজেটে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুত আওয়ামী লীগের ইশতেহারকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল নেতারা।
এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। সেজন্য প্রায় ৩২৯ পৃষ্ঠার বিশাল বাজেট বক্তৃতা তৈরি করা হয়েছে।
তবে এই বাজেট বক্তৃতার পুরোটা পড়তে হবে না ৮২ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে। তিনি বাজেটের সারাংশ স্লাইডের মাধ্যমে তুলে ধরবেন সংসদ সদস্যদের সামনে।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার বাজেট উল্লম্ফন কম হলেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তাই রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণ হলেও এই পরিমাণ টাকা সরকারকে ঋণ নিতে হবে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ও বৈদিশিক খাত থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান, স্মার্ট বাংলাদেশ সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সর্বজনীন পেনশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা সহ সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানোর মত বিষয়গুলো কে এগারো দফা নির্দেশনায় যুক্ত করেছিলো দলটি। তা বাস্তবায়নে বিশেষভাবে নজর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা।
তাই বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতি লাঘব করে তা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য থাকবে বিশেষ নির্দেশনা। দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় অবস্থায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতেও বাজেট বাড়িয়েছে দলটি। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ থাকা ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও বাড়তি নজর থাকবে কর আরোপ, কর্মসংস্থান, করমুক্ত আয়সীমা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মতো বিষয়গুলোতে।
এবার মূল্যস্ফীতি একটা বড় বিষয় উল্লেখ করে নাছিম বলেন, তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের বড় একটা নজর ছিলো বাজেটে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখা বাজেটের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সময় জার্নাল/এলআর