স্পোর্টস ডেস্ক
এখন পর্যন্ত পুরো ম্যাচটায় হয়েছে একপেশে, শুধুমাত্র স্কোরবোর্ড ছাড়া- প্রথমার্ধ শেষের ২০ সেকেন্ড আগে ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে বলা এই উক্তিটাই হয়ত আর্জেন্টিনা এবং চিলি ম্যাচের সবচেয়ে উপযুক্ত সারাংশ। পুরো ৪৫ মিনিট আর্জেন্টিনা এতটাই আধিপত্য দেখিয়েছে, তাদের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বল স্পর্শ করেছেন মোটে ১২ বার।
বিপরীতে চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো সেইভ করেছেন ৩টি। রিকোভারি করেছেন ৮বার। আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ ঠিক এতটাই ব্যস্ত রেখেছিল তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেয়েছেন চিলির সমর্থকরাই। টানা আক্রমণ করেও গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ পার হয়েছে গোল না পাওয়ার হতাশায়। উপরন্তু ৩৭ মিনিটে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। হতাশার মাত্রা তাতে আরও বেড়েছে।
পুরো প্রথমার্ধেই দাপট দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৬৩ শতাংশ বল ধরে রেখে চিলির গোলমুখে নিয়েছে ১৩ শট। তবে শরীরী ফুটবল খেলেছে দুই পক্ষই। মোট ৯বার বেজেছে ফাউলী বাঁশি। এমনকি মেসিকে একবার চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছে মাঠের বাইরে। সেখান থেকে ফিরেই মেসি হয়েছেন আরও বেশি ক্ষুরধার। যদিও চিলির রক্ষ্মণদূর্গটা ভেদ করা হয়নি তাদের।
একপর্যায়ে অবশ্য আর্জেন্টিনা বাধ্য হয়েছে দূরপাল্লার শটে নির্ভরতা বাড়াতে। ডি বক্সের বাইরে থেকে একের পর এক শট নিয়ে গেলেও সেসব আদতে গোলের লক্ষ্যে ছিল না। প্রথমার্ধে তাদের ১৩ শটের মাঝে কেবল ৩টিই ছিল চিলির গোলপোস্টে। গোল বাদে সবটাই এই ম্যাচের প্রথমার্ধে পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে এর আগে কানাডা ১-০ গোলে হারিয়েছে পেরুকে। জোনাথন ডেভিডের ৭৪ মিনিটের একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট পেয়েছে কানাডা।
আরইউ