স্পোর্টস ডেস্ক:
রোনালদো কাঁদছেন। গ্যালারিতে তার মায়ের চোখে পানি।পেনাল্টি মিস করার যন্ত্রণা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসি ফুটল। কোনো রকমে বিপদ এড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল।
টাইব্রেকারে পরিত্রাতা হয়ে উঠলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কোস্তা। পেনাল্টি শুট আউট সেভের হ্যাটট্রিকে ম্যাচ জিতলেন রোনালদোরা।
গ্রুপ পর্বে রোলারকোস্টার রাইড ছিল পর্তুগালের জন্য। চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে জয়, আবার তুরস্কের সাথে অনবদ্য ফুটবল। কিন্তু শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছিল দুর্বল জর্জিয়ার বিরুদ্ধে। রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করলেও, রবার্তো মার্তিনেজের দলের ইউরো ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। যেভাবে কথা হচ্ছিল রোনালদোর ফর্ম নিয়েও।
গ্রুপ স্টেজে গোলের মুখ দেখেননি ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইয়ান ওব্লাকদের স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে যখন তিনি মাঠে নামছেন, তখন তার সামনে অনেক দায়িত্ব। শুধু নিজের গোল নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আরো একবার ইউরো ছুঁয়ে দেখা। প্রথম স্বপ্নটা পূর্ণ হলো না এখনো। কিন্তু তাতেও জয় আটকাল না পর্তুগালের। স্লোভেনিয়াকে হারিয়ে ইউরোর দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা।
ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। না, এবার ভুল হলো না। ওব্লাক যেদিকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, সেদিকেই নিখুঁত প্লেসিং। তার পর হাত জোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা। ওখানেই বোধহয় সমস্ত পর্তুগাল আর রোনালদোভক্তের আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল। তার আগেই পেনাল্টি শুট আউটে স্লোভেনিয়ার একটি শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন কোস্তা।
ফের তার হাতেই জয়রথ ছুটল। রোনালদোর পর ব্রুনো আর বার্নাদো সিলভার পেনাল্টিতে ম্যাচ জিতল পর্তুগাল। শাপমোচন হলো রোনালদোর। কিন্তু রয়ে গেল অসংখ্য প্রশ্ন। কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। শিষ্য এমবাপ্পের গতি রুখতে ৪১ বছরের বুড়া ঘোড়া পেপে কি ভরসাযোগ্য? একটা বাধা কাটলেও কাঙ্ক্ষিত ইউরোর পথে অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করে আছে রোনালদোদের জন্য।
সময় জার্নাল/এলআর