ইউনুস রিয়াজ, গবি প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে পদত্যাগ করে দায়িত্ব ছাড়লেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় গবি ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি বরাবর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র টি প্রকাশ্যে আসে।
রেজিস্ট্রার অপসারণকে প্রধান দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নীতি প্রতিষ্ঠায় ক্যাম্পাস সংস্করণে ২১ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবীর পত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পেশ করার পর থেকে রেজিস্ট্রারের আপসারণ না হওয়া অব্দি উপাচার্যের সভাকক্ষ ত্যাগ না করার হুশিয়ারী দেন তারা।
দফাতে তারা উল্লেখ করেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করায় প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষিবিদ সরদার তাসাদ্দেক আহমেদ (এস তাসাদ্দেক আহমেদ) বিবৃতি দিয়েছিল তা মূলত নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর হয়রানি ও জুলুমের সামিল। কোন অন্যায়কারীকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে সাধারণ শিক্ষার্থী দেখতে চায় না তাঁকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার এবং আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী তীব্র দাবীর মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। এর আগেও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর উপর রেজিস্ট্রারের পেটুয়া বাহিনী কর্তৃক হামলার অভিযোগও উঠে আসে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অরাজকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে প্রশাসন। বহুবার শিক্ষার্থীরা তা রোধের প্রচেষ্টা চালালেও প্রশাসন তোয়াক্কা করেনি। সঙ্গত কারণেই এই ২১ দফা দাবী উত্থাপনের নিমিত্তে জুলুমবাজ রেজিস্ট্রারের অপসারণ জরুরী হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সময় জার্নাল/এলআর