স্পোর্টস ডেস্ক:
কঠিন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর অভিষিক্ত জাকের আলী। ১১২ রানে পড়ে গিয়েছিল ৬ উইকেট। ইনিংস হার এড়াতে তখনও দরকার ৯০ রান।
সপ্তম উইকেট জুটিতে তাদের প্রতিরোধে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর পথে চলে এসেছে বাংলাদেশ। এমনকি লিড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর স্বপ্নও দেখছেন সমর্থকরা।
এখন পর্যন্ত মিরাজ-জাকের সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন আছেন ৮৯ রানে। তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। মাত্র ১ রান পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
মিরাজ এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৫৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন এই অলরাউন্ডার। জাকের আছেন ৩০ রানে।
তৃতীয় দিনে মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকুর রহিম সকালটা শুরু করেছিলেন বেশ দেখেশুনে। প্রথম আধ ঘণ্টা কাটিয়েও দিয়েছিলেন তারা। এরপর কাগিসো রাবাদার এক ওভারে জোড়া শিকার দুজন।
এর আগে ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ । জয় ৩৮ আর মুশফিকুর রহিম ৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ১০১ রানে।
২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান ওপেনার সাদমান। এরপর ৩ বলে ০ রানে আউট হন মুমিনুল হক।
দুই বাঁহাতিকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে তাদেরকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি প্রোটিয়া পেসার।
সাদমান ক্যাচ তোলেন শর্ট লেগে টনি ডি জর্জির হাতে। আর মুমিনুল খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে ফিল্ডিং করা উইয়ান মুলদারের হাতে।
প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ ছিলেন সাদমান আর মুমিনুল। ডাক (৪ বলে ০) মেরেছিলেন সাদমান। মুমিনুল আউট হয়েছিলেন ৪ রানে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দৃষ্টিকটু আউটের নজির ভুরি ভুরি। ভালো খেলতে খেলতে অনেক সময়ই দেখা যায়, খুবই সাধারণ একটি বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭। দ্বিতীয় ইনিংসে তার উইলো থেকে এলো ২৩ রান। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণি ডিফেন্ড করতে গিয়েও পারেননি শান্ত। সরাসরি পা দিয়ে বল আটকে দেন। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে ভুল করেননি।
সময় জার্নাল/এলআর