শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এনালগ মেশিনে চলছে হাবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৫
এনালগ মেশিনে চলছে হাবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারে রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে এনালগ এক্স-রে মেশিন (LISTEM 500 MA)। ফলে রোগ নির্ণয়ে ভুল ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। 


বর্তমানে ইসিজি মেশিন, সেমি অটো বায়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার, এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় মেডিকেল সেন্টারটিতে। পাশাপাশি মাত্র ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। 

 
কনসালটেন্ট সংকট, উন্নত ইসিজি মেশিন (জাপানি) সংকট, পুরনো মডেলের ব্লাড সেল কাউন্টার মেশিন, চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা না পাওয়া সহ বিভিন্ন কারণে মেডিকেল সেন্টারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অনাস্থার কারণে নিয়মিত ব্যবহৃত হয়না যন্ত্রাংশ গুলো।


মেডিকেল সেন্টার টির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) ফিরোজ আলম জানান, এক্স-রে মেশিন নতুন করে ক্রয় করার প্রয়োজন নেই। বরং এটাকেই কম্পিউটারাইজ করলেই ডিজিটাল মেশিনের কাজ করবে। 


তিনি আরো জানান, জাপানি ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ফুজি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করলে কম্পিউটারেই রেজাল্ট দেখা যাবে। এতে ফিল্মের খরচ বেঁচে যাবে শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার এবং রঙিন ছবি প্রদান করা সম্ভব হবে। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন, " দেশের সব জায়গাতেই যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই মেডিকেল সেন্টারটিতে। এখনো এনালগ মেশিন ব্যবহার হচ্ছে জেনে অবাক হয়েছি। উন্নত মানের চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।"


মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, "এক্স-রে মেশিন ডিজিটালাইজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বারবার আবেদন দেওয়া হলেও এ বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায় নি। তবে বর্তমান ভিসি স্যারের সাথে কথা হয়েছে। তিনি এ বিষয়টি নজরে নিবেন।"


বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, " এ বিষয়ে আবেদন পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা ইউজিসি তে প্রেরণ করা হবে। ওখান থেকে অর্থ বরাদ্দ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।"


এছাড়াও শিক্ষার্থী বা রোগীদের বসার পর্যাপ্ত জায়গা নেই মেডিকেল সেন্টার টিতে। রোগীদের শয্যা সংকট তো রয়েছেই। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারণ (তিন তলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার) বাজেট পাশ করেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর মো. রুহুল আমিন (২০০৭ - ২০০৮)। সে কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল