জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আলোচিত ও বিতর্কিত দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদী হাসান।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট থেকে ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত করেননি। এ কারণে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট থেকে ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত করেননি। এ কারণে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ পুলিশের আলোচিত এই দুই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ডিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। অল্প সময়ের জন্য ঢাকার বাইরে গেলেও তাদের আবার পদায়ন করা হয় ডিএমপিতে। বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর ক্ষেত্রে তারা উভয়েই সক্রিয় ছিলেন। বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে কিল-ঘুষি মেরে আলোচিত ও বিতর্কিত হন বিপ্লব কুমার সরকার। আর মেহেদী আলোচনায় আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর এবং হেফাজতের আন্দোলন দমানোর ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকার মাধ্যমে। গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমাতেও এই দুই কর্মকর্তা সক্রিয় ছিলেন।