চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ কুমিল্লার গরু ছাগলের বড় হাট মীরশ্বানী ছাগল বাজারে অতিরিক্ত হাসিল আদায় ও ক্রেতাদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত হাসিল আদায় ও হয়রানির বিষয়ে তথ্যাদি পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ফেনী থেকে আগত ক্রেতা জাহেদুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত বুধবার হাটের দিন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার কুহুমা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহেদুল ইসলাম ছাগল কিনতে মীরশ্বানী বাজার আসে। পছন্দ করে ১৬ হাজার টাকায় (৮ হাজার করে প্রতিটি) দুইটি ছোট ছাগল কিনে হাসিল দিতে গেলে আদায়কারীরা ১ হাজার টাকা দাবি করে। জাহেদুল ইসলাম অতিরিক্ত হাসিল দাবি বলে আপত্তি জানালে তাকে গালমন্দ করে। ওই ক্রেতা তখন ছাগল নিবে না বলায় তাকে ছাগল বিক্রেতা ও হাসিল আদায়কারীরা এক প্রকার বাধ্য করে ৮০০ টাকায় হাসিলের রশিদ ধরিয়ে দেয়। মীরশ্বানী আখনিয়া হাফেজিয়া এতিমখানা'র নামে আদায়কৃত হাসিলের রশিদের সিরিয়াল নাম্বার-৪৪৫৬। সেখানে কৌশলে ক্রেতার নাম জাহেদুল ইসলামের স্থানে সিরাজুল ইসলাম লিখে দেয়।
ছাগল কিনতে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার শ্রীপুর থেকে আসা এয়াসিন নামের এক ক্রেতা ছাগল বাজারের ব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে ছাগল আনা ব্যাপারীদের ছাগলের পেটে পানি ঢুকিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও ইজারদারদের কাছ কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এই বাজার থেকে গত কুরবানির জন্য কেনা ছাগল কুরবানির আগের দিন মারা যায় বলে জানান তিনি।
ছাগল কিনে হয়রানির অভিযোগকারী ফেনী থেকে আসা ক্রেতা জাহেদুল জানান, ছোট একটা ছাগলের হাসিল ১০০-১৫০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু তারা প্রতি ছাগল ৫০০ টাকা দাবি করায় আমি ছাগল কিনবো না বলায় তারা আমার কাছ থেকে ছাগল ও টাকা দুটোই রেখে দেয়ার হুমকি দেয় এবং আমাকে গালমন্দ করে।
হয়রানি ও ছাগলের হাসিলের(প্রতি হাজারে কত পার্সেন্ট) বিষয়ে ছাগল বাজারের ইজারাদার মীরশ্বানী আখনিয়া হাফেজিয়া এতিমখানার সভাপতি আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে সেক্রেটারির কাছ থেকে জেনে জানাবেন বলেন এবং পরক্ষণে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, অভিযোগকারীকে ইউএনও বরাবর নোটিশ করতে বলেন, সেখান থেকে তারা আমাদেরকে নোটিশ করবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘বুধবার অভিযান চালিয়ে পাইপ দিয়ে জোরপূর্বক ছাগলকে পানি খাওয়ানোর সময় ৯ জনকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অনিয়ম রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে’।
এমআই