জুয়েল হোসেন, শেকৃবি প্রতিনিধি :
শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩ টি উপকেন্দ্রসহ মোট ২২ টি কেন্দ্রে দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এবারের শিক্ষাবর্ষের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি)।গত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে আসছে। তবে এবছর ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাকৃবি উপাচার্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আগামী বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাথে এক আলোচনায় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বাকৃবির নেতৃত্বে আগামী ৫ বছর টানা কৃষিগুচ্ছ পরীক্ষা হলেই কেবল গুচ্ছতে থাকবো, অন্যথায় বাকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে।”
এ বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ জানান, “গুচ্ছ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত করা। সেটি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে গুচ্ছের যৌক্তিকতা আর থাকে না। কৃষি গুচ্ছে রোটেশনাল নেতৃত্ব একটি প্রচলিত রীতি। আগেও আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি। এ বছর বাকৃবি দিয়েছে। এই রীতি না মানলে আমরা গুচ্ছে থাকবো না।”
তিনি আরও বলেন, “বাকৃবি যদি এককভাবে পাঁচ বছর নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে আমরা গুচ্ছে যাবো না। বরং শেকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে। তবে অন্য কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা আলাদা গুচ্ছ গঠন করতেও প্রস্তুত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ভিন্নমত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমন্বয় ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআই