সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের আট মাস চলে গেলেও আমরা সেই ফ্যাসিবাদের কোন দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাচ্ছি না। পরবর্তীতে একটি দল নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসে এই বিচারকের কন্টিনিউ করবে এরকম আস্থা এবং বিশ্বাসও আমাদের নেই। কারণ ইতিহাস বলে নব্বইয়ে এরশাদের পতনের পর এরশাদকে আবার পুনর্বাসন করেছিল এই রাজনীতিবিদরাই। বারবার বাংলাদেশে এই ইতিহাসগুলো পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সুতরাং জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের দাবি না করেই যারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, আমরা মনে করি ছাত্রজনতা তাদের এই কার্যক্রমকে আবার লাল কার্ড দেখাবে। এটা সহ্য করা হবে না।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) টিএসসিসির করিডোরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, সকল প্রমাণ থাকার পরও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচার হচ্ছে না। এটা ১৯৭১ সাল নয় যে কোন প্রমাণ ছিল না, যেখানে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা অনেক কঠিন ছিল। দেশে এখন প্রতিটা ঘটনার ভিডিও রয়েছে, সব দৃশ্যমান। সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রমাণ রয়েছে, রিপোর্ট জমা রয়েছে। ভিডিওগুলো এবং গণমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাই। এত পরিষ্কার প্রমাণ থাকার পরেও তাদের বিচার হচ্ছে না। আমরা অতিদ্রুত ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আহবান জানাচ্ছি।
শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, বিচার তো হচ্ছেই না উল্টো আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মিছিল-মিটিং করছে, গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে, মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদ আবার অনলাইনে সংঘবদ্ধ হয়ে দাবি করছে হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অনলাইনে তাদের যে সভাগুলো হয় সেগুলোতে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকে। এটা থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে আওয়ামীলগকে কারা পরিচালনা করতো। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে মূলত মোদির সেবা দাসী হিসেবে কাজ করেছে। সেবা দাসী হিসেবে তাকে যেটুকু অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেটাই করেছে। আমরা এই জিনিসগুলোর পরিবর্তন চাই। জাতি হিসেবে সার্বভৌমত্ব নিয়ে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে চাই।