মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন:
ছাত্রদলকর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি(হাবিপ্রবিসাস)।
বুধবার (২রা জুলাই) দুপুর ১২ টায় দিনাজপুর জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানভীর হোসাইন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,"গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসকক্ষে ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে যে ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
"এই হামলার পিছনে কারণ ছিলো—অবৈধভাবে হলে ওঠা সংক্রান্ত সংবাদ, যা তথ্যভিত্তিক ও সত্যনিষ্ঠভাবে আমাদের সদস্যরা রিপোর্ট করেছিলেন। এর জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের সংগঠনকে হুমকি, কটাক্ষ এবং অপমানজনক পোস্টের মাধ্যমে অপদস্থ করার অপচেষ্টা চালানো হয়। এর চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমাদের অফিসকক্ষে সরাসরি হামলার মাধ্যমে।এই ঘটনা শুধু একটি সংগঠনের ওপর হামলা নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ছাত্র সমাজের গণতান্ত্রিক চর্চার ওপর সরাসরি আঘাত।"
"আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই—সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার এই হুমকি ও হামলায় আমরা বিচলিত নই। বরং সত্য ও নিরপেক্ষতার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আরও দৃঢ় হয়েছে।"
"প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত শামীম আশরাফীসহ বাকিদের শনাক্ত করে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রশাসনের মৌলিক দায়িত্ব। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সচেতন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"
"আমরা সাংবাদিকতা করি দায়িত্ব নিয়ে, তথ্য ও সত্যের ভিত্তিতে। হুমকি কিংবা হামলা দিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। বরং এমন ঘটনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।"
বক্তব্য পাঠ শেষে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি নাহ সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "ইতোমধ্যেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷ পাশাপাশি আমরা মামলা করবো, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।"
উল্লেখ্য,২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।