একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিএনপি ও তার সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। দলটি কি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে?
পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় গত ৯ জুলাই ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ যুবদলের সাবেক কর্মী বলে স্থানীয়রা জানায়। চাঁদা না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সোহাগকে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার নৃশংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিষয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, পুর্ব শত্রুতা ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক দ্বদ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৯ জুলাই সোহাগকে হত্যা করা হলেও শনিবার ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পর সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর ঘটনার বিষয়ে তৎপর হয় পুলিশ।
সোহাগ হত্যার ঘটনায় এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক রজ্জব আলী ওরফে পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম ওরফে লাকি, ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালুসহ পাঁচজনকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো। তারা সবাই ওই হত্যা মামলার আসামি, তবে পলাতক।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর হোসেন, মনির ওরফে ছোট মনির ও মো. টিটন গাজী। এই ঘটনায় মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আর একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। দলটির পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও থামছে না সংঘাত, সংঘর্ষের ঘটনা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজেরা ক্ষমতায় আছে বলে মনে করছে দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে। এ কারণেই তাদের মধ্যে বেপরোয়া আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেইসাথে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অনেক নেতাকর্মীকে দলে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বলে দলীয় ব্যবস্থা কাজে আসছে না।
এদিকে, অন্যায়কারীদেরকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যারা ‘‘বিভিন্নভাবে ‘মব’ (দলবদ্ধ সহিংসতা) সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে কি না,’’ সে প্রশ্ন তারেক রহমানের।
রাজনৈতি সংঘাতে বিএনপি
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে বাংলাদেশে জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে রাজনৈতিক সংঘাতে ৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন দুই হাজার ৭৭০ জন। আর সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ২৭০টি।
এরমধ্যে মধ্যে শুধু বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে নিহত হয়েছেন ২৬ জন। তবে বিএনপি ও তার সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে সংঘাতের হিসাব করলে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ সংঘাত আর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায়। আর বাকি সংঘাতগুলোর অধিকাংশেই প্রতিপক্ষ হিসাবে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো জড়িত।
এসকল ঘটনায় অবশ্য দলের পক্ষ বহিস্কারের মতো পদক্ষেপসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিন হাজার ২০০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির এক হাজার ৮০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এদের ৮০০ জনকে বহিষ্কার, ৫০ জনের পদ স্থগিত, কমপক্ষে ৭০০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ, ১০০ জনকে সতর্ক এবং ১৫০ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ছাত্রদল এখন পর্যন্ত ৪০০ জনকে বহিষ্কার ও ৬০০’র বেশি নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমপক্ষে ১০০ জনকে বহিষ্কার ও ১৫০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু দল থেকে বহিস্কার করেই দায় এড়াতে পারে না কোনো রাজনৈতিক দল। তাদের এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে অপরাধে কেউ জড়াতে সাহস না পায়।
এদিকে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাদের অনেকের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন ঘটনাও কম নয়। তাছাড়া বহিষ্কারাদেশ নিয়েও অনেকে নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ডয়চে ভেলেকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নাই এবং তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি তাদের আমরা আবার দলে ফিরিয়ে নিই। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম। এপর্যন্ত তিনজন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কাউকে ছাড় দেইনা। আমরা তো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বলেছি। পুলিশ কেন গ্রেপ্তার করে না। সরকারের কি দায় নেই? সরকার কেন মব সৃষ্টির সুযোগ দেয়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, শুধু দল থেকে বহিষ্কার করেই দায় এড়াতে পারেনা কোনো রাজনৈতিক দল। তাদের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে যাতে অপরাধে কেউ জড়াতে সাহস না পায়। যদি এমন হয় বহিষ্কার করার পরও আবার যদি দলে ফেরার সুযোগ থাকে তাহলেতো পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
সরকারের দিকে আঙুল তারেক রহমানের
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী বা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়না এবং দেবেও না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, যারা মব তৈরি করছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? পুরান ঢাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা খুব আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, স্ক্রিনে (ভিডিও ফুটেজ) যাকে দেখেছি হত্যা করতে, তাকে কেন সরকার এখন পর্যন্ত অ্যারেস্ট করেনি? আমরা কি তবে ধরে নেব যে যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কোনো করো কারো কোনো প্রশ্রয় আছে?
“সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে? এই সরকারের কাছে আমাদের সবার প্রশ্ন, তারা কেন প্রশ্রয় দিচ্ছে, আশ্রয় দিচ্ছে?,” প্রশ্ন তার।
‘নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিএনপি’
মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, বিএনপির মধ্যে এমন প্রবণতা তৈরি হয়েছে যে তাদের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন গত ১৫-১৬ বছরের না পাওয়া তারা একসঙ্গে তুলে নেবেন। তাদের কেউ কেউ কেউ মনে করছেন তারাই ক্ষমতায়। ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষে তারাই যুক্ত। বিএনপি এখন আর তাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
তার কথা, বিএনপি কোনো ঘটনা ঘটলে বহিস্কার করছে বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু বহিষ্কার করার পরও তাদের দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার সুযোগ দিচ্ছে। আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাও হচ্ছে। ফলে তারা যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা তেমন কাজে আসছে না।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল হক বলেন, বিএনপি তার ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারপরও দলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।
তিনি বলেন, কোনো বড় দল যখন ক্ষমতায় যায় বা শক্তি অর্জন করে তখন তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ আছে যারা আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এখানেও তাই ঘটছে। আর যেসব সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তার ভবিষ্যৎ কী তা ওই নেতা-কর্মীরা জানেন।
এসব ঘটনায় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির দায় থাকলেও সরকারের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
তিনি বলেন, বিএনপির এখানে দায় আছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতা আছে। যত রাজনৈতিক সংঘাত সংঘর্ষ হচ্ছে তাতে বিএনপি এগিয়ে। কিন্তু সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপি তো বলেনি যে, ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সরকারের এমন উদ্দেশ্যও হয়তো থাকতে পারে যে প্রমাণ করা রাজনৈতিক সরকার আসলে পারবে না। অনির্বাচিত সরকারই থাকতে হবে।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
খুলনায় শুক্রবার দুপুরে নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে বহিস্কৃত যুবদল নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। গুলি করার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কাটা হয়। মোল্লা মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সমকালের শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা' না পেয়ে রাজধানীর পল্লবীতে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গুলি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়। পল্লবী থানার ওসি শফিউল ইসলাম বলেন, '২৫-৩০ জন ত্রাস সৃষ্টির জন্য শুক্রবার বিকালে আলাব্দিরটেক গুলি করে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।'
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সহিংসতা, আন্দোলন, পিটিয়ে (মব) হত্যা, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড, নারী ও শিশু নির্যাতন, কারাগারে মৃত্যুসহ নানান ঘটনায় কমপক্ষে ৪৬৮ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা, মবসহ বিভিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ২০৯ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে সহিংসতা, মব, ছিনতাই, সীমান্ত হত্যা, জেলখানায় মৃত্যুসহ বিভিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ২৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে এক হাজার ৪২ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭৬ জন।
‘পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে’
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর ডয়চে ভেলেকে বলেন, অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রতিদিনই নানা অপরাধে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। উপরন্তু যদি কোন অপরাধ সংগঠিত হয় পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আপনারা দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতা নিয়ে এসেছে। অপরাধ প্রতিরোধে এবং অপরাধী যিনি হোন না কেন আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ধরনের কার্পণ্য নেই। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়।
তার মতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের সকল সচেতন নাগরিকের উচিত এ বিষয়ে ভূমিকা রাখা। পারস্পরিক সহনশীলতা, ধৈর্য এবং সহিষ্ণুতা অপরিহার্য এবং এর কোন বিকল্প নেই।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
একে