নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গলঅভ্যুত্থান চলাকালে দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালায় সরকারি বাহিনী। একই সময়ে ৫০টিরও বেশি জেলায় ব্যবহার করা হয় মারণাস্ত্র।
এমন তথ্যই দিয়েছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তিনি ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে তিনি জবানবন্দি দেন।
আলমগীর আদালতে জানান, আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা ঠেকাতে আসামিরা কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং খুন-গুম-জখমের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন।
জবানবন্দিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর তিন লাখ পাঁচ হাজার গুলি ছোড়ে।
এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করেন।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এ মামলায় ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ মামলায় এরইমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং এনসিপির আহ্বায়ক ও জুলাই যোদ্ধা নাহিদ ইসলাম। বর্তমানে চলছে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ। এরপর শুরু হবে যুক্তিতর্ক।
এমআই