স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন ঘিরে নাটকীয়তার যেন শেষ নেই। একের পর এক মোড় ঘুরছে ঘটনার। সর্বশেষ রায় বদলে গেল নির্বাচনী চিত্রপট। হাইকোর্টের রুলে ভোটাধিকার হারানো ১৫টি ক্লাব আবার ফিরে পেয়েছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার। আর এ মোড় ঘোরানো রায়ের নায়ক, বিসিবির বর্তমান কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।
সবকিছুর শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর। সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করে অভিযোগ আনেন, ১৫টি ক্লাব নাকি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো যোগ্যতাই রাখে না। হাইকোর্ট তার রিট আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে সেই ১৫ ক্লাবকে নির্বাচনের বাইরে রাখার নির্দেশ দেয়।
এর ফলে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে এসব ক্লাবের কাউন্সিলররা। তাদের মধ্যেই ছিলেন নাখালপাড়া ক্রিকেটার্সের প্রতিনিধি ও বিসিবি কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। তিনিই সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন।
আর তারই রেশ ধরে নাটকীয় পরিবর্তন! সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের সেই আদেশ স্থগিত করে দেয়। ফলে নির্বাচন থেকে বাদ পড়া ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার এখন পুনর্বহাল।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠে আসে এক নাম নিয়ে ইফতেখার রহমান মিঠু। এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের মধ্যে একমাত্র তিনি বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের রুলের পরই প্রার্থিতার তালিকা থেকে তার নাম কেটে যায়।
এখন চেম্বার জজ আদালতের রায়ের পর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আবারও মিঠুর নির্বাচনী মাঠে ফেরার। যদিও এই বিষয়ে এখনো বিসিবি বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে যে নাটক চলছে, তার শেষ পর্ব এখনো মঞ্চস্থ হয়নি। ভোটের মাঠে নেমেই গেছে প্রার্থীরা, তবে তালিকা বদলের সম্ভাবনায় নির্বাচনের রূপ আবারও পাল্টাতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।
এমআই