মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দেখাল এভাবেও হারা যায়!

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২১, ২০২৫
১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দেখাল এভাবেও হারা যায়!

স্পোর্টস ডেস্ক:

শেষ ৫ ওভারে স্রেফ ২৭ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। হাতে তখনও ৭টি উইকেট। এমন ম্যাচও কত বিদঘুটে উপায়ে হারা যায় সেটাই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আরও দুটি নিকট দূরত্বের ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল। যদিও তখন বোলিংয়ের কল্যাণে সম্ভাবনা জাগিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দৃঢ়তার করুণ সাক্ষী হয়েছিল টাইগ্রেসরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের কী অজুহাত দেওয়া যায়!

নাভি মুম্বাইয়ে গতকাল (সোমবার) লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। অর্থাৎ, হারলেই ছিটকে পড়তে হবে বিশ্বকাপ থেকে। যথারীতি এদিনও জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররা। টপ অর্ডারে বড় জুটির পর লঙ্কানরা মিডল অর্ডারে বিপর্যয়ে পড়ে। ফলে ৪৮.৪ ওভারে ২০২ রানেই গুটিয়ে যায় চামারি আতাপাত্তুর দল। সেই লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ কক্ষপথেই ছিল। কিন্তু তাদের যে হারের উপায়টা ভালোভাবেই জানা! লক্ষ্যটা যখন ৬ বলে ৯ রানের, তখন মাত্র ১ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। ফলাফল ৭ রানে হেরে বিদায়।

এমন হারের পথ তৈরি করা অসংখ্য দুর্বলতা চিহ্নিত করা যাবে। হয়তো জ্যোতিরাও ব্যর্থ বিশ্বকাপ শেষে এখান থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথাই বলবেন। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর কী মিলবে? কেন সেট ব্যাটার হয়েও অধিনায়ক জ্যোতিসহ অন্যরা ধীরগতিতে ব্যাট চালিয়ে ম্যাচটি শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিলেন– তার উপযুক্ত কোনো জবাব হতে পারে? আগের ম্যাচগুলোয় ডেথ ওভারে বাংলাদেশের রানের গতিটা বাড়িয়েছেন স্বর্ণা আক্তার। এই বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটির (৩৪ বল) রেকর্ডটাও তিনিই গড়েছিলেন। কিন্তু তাকেও কাল আগ্রাসী দেখা গেল না।

এদিনও যথারীতি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পুরোনো ঘরানার ক্রিকেট দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ১ উইকেট স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩ রান। এরপর অভিজ্ঞ ফারজানা হক পিংকি আউট হন ৩৫ বলে ৭ রান করে। সোবহানা মোস্তারিও দ্রুত আউট হয়ে বিপদ বাড়ান। সেখান থেকে জ্যোতি ও শারমিন সুপ্তা মিলে গড়েন ৮২ রানের জুটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের তখনই শুরু, ব্যক্তিগত ৬৪ রানে পায়ে ক্র্যাম্প নিয়ে সুপ্তা রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর জ্যোতি-স্বর্ণা জুটিতে ৫০ রান এলে জয়টা হাতের কাছেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু স্বর্ণার বিদায়ের পর একের পর এক উইকেটের মিছিল শুরু হয়।

রিতু মনি তো ডট দিয়েছেনই, ৭০ পেরিয়ে ব্যাট করা জ্যোতির ব্যাটেও রান আসছিল না। ক্রমেই চাপ বাড়তে থাকে, সেই চাপ ১২ বলে ১২ রানের সমীকরণও মেলাতে দিলো না। ৪৯তম ওভারে আসে ৩ রান। শেষ ওভারে যখন ৯ রান প্রয়োজন, লঙ্কান অধিনায়ক আতাপাত্তু হাতে বল তুলে নেন। প্রথম বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন রাবেয়া খানকে, পরের বলে নিশ্চিত সিঙ্গেল রান নিতে গিয়ে নাহিদা আক্তার রানআউট। ৭৭ রান করা জ্যোতি স্ট্রাইকে গিয়ে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ঠিকঠাক হলো না, ক্যাচ দিলেন লং অফে। পরের বলে নেমেই মারুফা আক্তারও লেগ বিফোরের ফাঁদে, রিভিউ নিতেও চেয়ে পারলেন না। আম্পায়ার কেন অনুমোদন দিলেন না সেটি তখন জানা যায়নি। ১ রানেই শেষ ৫ উইকেট।

সুপ্তা ফের ক্রিজে এসে শেষ বলটা পেলেন, কিন্তু ততক্ষণে সব আশা শেষ। ১ বলে দরকার ছিল ৮ রান। কিন্তু বলটা তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে যায়। বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে। পরবর্তী ৫ ম্যাচে টানা হার দেখল জ্যোতির দল। 

একে 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল