এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ(চলতি দায়িত্ব) মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছ একটি মহল। ২১ বছরের পূর্বের কাল্পনিক কাহিনী ছড়িয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ওই মহলটি।
মোড়েলগঞ্জ প্রেসক্লাবে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ তুলেন অধ্যক্ষ কামরুল ইসলামসহ শিক্ষকবৃন্দ।
অভিযোগে বলা হয়েছে ১৯৯৯ সালে মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই তৎকালিন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাকে সড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অলিউর রহমান দীর্ঘ ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। পূর্বের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মহামান্য হাইকোটে নির্দেশনা মোতাবেক তার পদটি পুনরায় ফিরে পান ২০২০ সালে।
পরবর্তীতে ২০২১ সালে ১৫ জানুয়ারি তিনি অবসরে যান। সে লক্ষে বিধি মোতাবেক কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনে চন্দন কুমার কবুলাশীকে প্রস্তাব দিলে তিনি পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি মতে জেষ্ঠতম ৫ জনের মধ্যে যেকোন একজন দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় শিক্ষক পরিষদের সভায়। তাৎক্ষনিক গর্ভনিং বডির সভাপতিকে অবহিত করা হয় অধ্যক্ষের মাধ্যমে। তখনই মৌখিক নির্দেশে বিধি মোতাবেক সহকারি অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম মোল্লাকে চলতি দায়িত্বে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কামরুল ইসলাম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন কলেজের অফিস সহকারি মো. রেজাউল ইসলাম নান্নুসহ একটি চক্র।
রেজাউল ইসলাম কলেজের একজন প্রধান অফিস সহকারি পদে চাকুরি করেও নিয়মিত অফিস করে না। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও ছাত্রদের কাছ থেকে নাম সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
২০০১ সালে ২ অক্টোবর কলেজ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী ছবি একটি কাল্পনিক ঘটনা সম্প্রতি সময়ে অনলাইনসহ পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। তৎকালিন এ ঘটনা কোন পত্র পত্রিকায় আসেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আদৌ বিষয়টি জানে না।
কাল্পনিক সংবাদের রুপ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারি মহলটি। অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম মোল্লা বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে তার সাথে ছিলেন। কলেজের সহকারি অধ্যাপক চন্দন কুমার কবুলাসী, প্রভাষক বিষ্ণুপদ দাস, মাহফিজুর রহমান, মো. ফারুক হোসেন, কেএম ফিরোজ কবির, পরীক্ষিত কুমার, এনামুল কবির, মহানন্দ বালা, সঞ্চয় মৃধাসহ বিভিন্ন শিক্ষক মন্ডলি।
সময় জার্নাল/এমআই