নিজস্ব প্রতিবেদক: এফবিএইচআরও এর আয়োজনে বেসরকারী পেশাজীবীদের জন্য আনুষ্ঠানিক পেনশন ব্যবস্থা বিষয়ক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ শে জুলাই অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিজিএমই এর সভাপতি ফারুক হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বিইএফের (বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনে) এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ। আরো তিনজন সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআই এর প্রাক্তন সভাপতি ডঃ সবুর খান, ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ও ডিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেণ্ট এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, এবং ড্রাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অভ কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামরুস সোবহান ।
স্বাগত বক্তব্যে ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অরগানাইজেশনস্ (এফবিএইচআরও) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, “এফবিএইচআরও দীর্ঘদিন গবেষণার পর গত মে ২০২১ এর প্রথম সপ্তাহে বেসরকারী পেশাজীবীদের জন্য আনুষ্ঠানিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য সংশ্লিস্ট সবার সাথে কাজ করার লক্ষ্যে অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরীকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করে এফবিএইচআরও একটি ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন করেছে। ফেডারেশন অভ্ বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন্স্ (এফবিএইচআরও) স্বপ্রণোদিত এবং স্বতস্ফুর্তভাবে সরকারকে এই ব্যাপারে সব রকমের সাহায্য সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর।“
বিশেষ অতিথি ড্রাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অভ কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামরুস সোবহান বলেন, “কানাডার মত অনেক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে বেসরকারী চাকুরীজীবী ও পেশাজীবীদের জন্য পেনশন বা অবসর ভাতা আছে। যে কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান স্ব-উদ্যোগে এই রকম ব্যবস্থা নিতে পারে। অবশ্য সেই ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের মানসিকার উপর তা নির্ভর করে।“
ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআই এর প্রাক্তন সভাপতি ডঃ সবুর খান বিশেষ অতিথি হিসেবে তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এটি এফবিএইচআরও এর একটি চমৎকার উদ্যোগ। পাশাপাশি স্ব-উদ্যোগে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কর্মীবান্ধব কাজ করছে তাদেরকেও তুলে ধরা উচিৎ ভাল উদাহরণ হিসেবে। এফবিএইচআরও কে অসংখ্য ধন্যবাদ“
আলোচনায় বিশেষ অতিথি ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ও ডিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেণ্ট এন কে এ মবিন, বলেন, “বেসরকারী কর্মজীবীদের অবসর ভাতা আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ ও প্রতিপালনে সরকারসহ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা জরুরী। বেসরকারী খাতের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।“
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিইএফের (বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনে) এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, “এফবিএইচআরও এর এই উদ্যোগটি সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এই ব্যাপারে এফবিএইচআরও এর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে আরো বাস্তবসম্মতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। “
এফবিএইচআরও এর বেসরকারী পেশাজীবীদের জন্য আনুষ্ঠানিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য গঠিত জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য সচিব আলোচনার মূল সঞ্চালক হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অরগানাইজেশনস্ (এফবিএইচআরও) এর জন্য আজ একটি অনুপ্রেরণাদায়ক দিন। কারণ, জাতীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সমর্থন আমাদেরকে উজ্জীবিত করছে বেসরকারী খাতে সর্বস্তরে অবসর ভাতা চালু করার মডেলটি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কাজ করার জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণনূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে এফবিএইচআরও সবাইকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।“
বেসরকারী খাতে সর্বস্তরে অবসর ভাতা চালু করার মডেলটি এফবিএইচআরও এর পক্ষে উপস্থাপন করেন এফবিএইচআরও এর মহাসচিব অধ্যাপক ডঃ ফরিদ এ সোবহানী। অনুষ্ঠানের সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন ড্যাফোডিল ইণ্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক এবং এফবিএইচআরও এর পরিচালক ডঃ খাদিজা রহমান তানচি।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন এফবিএইচআরও এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক এবং ওয়েণ্ড এর সভাপতি ডঃ নাদিয়া বিনতে আমিন।
সময় জার্নাল/এমআই