ডা. ফয়সাল আলম :
যারা আমাদের পথ দেখাবেন তারাই পথ হারিয়ে ফেলছেন। আত্মহত্যা করেছেন বগুড়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস সালাম সেলিম।
পৃথিবী নির্দয় সময় পার করছে। এটা কোনো সাধারন ঘটনা নয়। চাকচিক্য আর মোহের জগতে মানসিক অসুস্থতা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে বুঝা যায়। একটু না পাওয়ার বেদনাতেই মানুষ ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে, পার্থিব চাওয়া পাওয়াকেই শুধু বড় করে দেখছে।কারন দুনিয়াটা আমাদের চোখে এমন সুন্দর করে শয়তান তার বুদ্ধিমত্তা ও কাছের মানুষকে দিয়ে উপস্থাপন করছে যে আমরা এর চাকচিক্যে হারিয়ে যাচ্ছি, কিছু একটা না থাকলেই সেটাকে নিজের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছি। আসলেই কি তাই নয় ? প্রত্যেকে মানুষই কিছু না কিছু দিক থেকে অসম্পূর্ন। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে দিন মজুর প্রতিটা মানুষের মনেই অসম্পূর্নতা রয়েছে।
এই পৃথিবীর জীবন নিয়ে হতাশ না হওয়ার সুন্দর ব্যাখ্যা শুধু ইসলাম দেয়। আল্লাহ্ বলেছেনঃ
“দুনিয়ার জীবন তো নিছক খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর আখেরাতের জীবনই হলো মুত্তাকীদের জন্য শ্রেয়। তবুও কি তোমরা বুঝবেনা?”
-(৬- আল-আন'আম: ৩২)
শয়তানের প্রবঞ্চনা নিয়ে আল্লাহ্ বলেনঃ
• “হে মানুষ! নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। পার্থিব জীবন যেনো কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং প্রতারক শয়তান যেনো কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।”
-( ৩৫- ফাত্বির: ৫)
এই দুনিয়ার জীবন কিছুই না। কিছু না মানে কিছুই না। যিনি এই পৃথিবী বানালেন সেই আল্লাহ্ কনফার্ম করে বলে দিয়েছেন আমরা এই পৃথিবীর ধোঁকায় পড়ে আছি। অন্তত কেউ যদি এইটুকু মনে রাখেন তবে তার অনেক চাওয়া পাওয়া পূর্ন হলেও খুশি হওয়ার কথা না। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ব্যক্তিও কি নিজের সাথে তার সাফল্যের কিছু অংশ নিয়ে মাটির নীচে যেতে পেরেছে? পারেনি। কখনো পারবেও না।
সময় জার্নাল/ইএইচ