ডা. হাবিবুল্লাহ তালূকদার রাসকিন :
আমার একটা খেদের কথা বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বলেছি। আমাদের এত এত বড় ব্যবসায়ী। হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তাদের। কিন্তু টাটা, বিড়লা কিংবা আমাদের দেশের আর পি সাহার মত কেউ এগিয়ে আসেন না হৃদরোগ, ক্যান্সারের মত দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠান গড়তে, যেখানে আর্থিক সামর্থ্য মত সেবা নিতে পারবেন যে কেউ। নিঃসম্বল মানুষ বিনে পয়সায়। সবাই এই সেক্টরে আসেন লাভের জন্য। নতুন প্রাইভেট ক্যান্সার হাসপাতাল হয়, আর চিকিৎসার খরচ এক ধাপ বেড়ে যায়। উপরে যাঁদের নাম বললাম, তাদের মত বাণিজ্যের আশা বাদ দিয়ে, শুধু মানুষের সেবায় কেউ আসেন না।
আরেকটা দুঃখ ছিলো। যারা ক্যান্সার হাসপাতাল বানাতে আাসেন, সব ঢাকায়।
একজন এগিয়ে এসেছেন। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়। নিজ এলাকার মানুষের সেবায়।
বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও
Md Tipu Munshi একজন রোটারিয়ান, রোটারি ক্লাব অব উত্তরার সদস্য । আমিও রোটারিয়ান, এবং ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ এর ক্যান্সার কমিটির চেয়ারম্যান কয়েক বছর যাবত।
সেই সূত্রে টিপু ভাইয়ের এই উদ্যোগের খবর জানা ও অতি সামান্য সংস্পর্শে আসা। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সীমানায়, পীরগঞ্জ কাউনিয়ার ধারে গড়ে উঠছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'অপু মুনশি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। কয়েক ধাপে। প্রথম ধাপের পরিকল্পনা ও ড্রয়িং পর্যায়ে উত্তরার প্রিয় রোমেল ভাইয়ের মাধ্যমে কিছু ইনপুট দেয়ার সুযোগ হয়েছে আমার।
এই উদ্যোগ আমাকে মুগ্ধ করেছে। একজন ব্যবসায়ী এগিয়ে এসেছেন নিজ এলাকার মানুষকে ক্যান্সার সেবা দিতে। সেটা ঢাকায় নয়, সুদূর রংপুরের শহরতলীতে! হ্যাটস অফ টু ডিয়ার রোটারিয়ান টিপু ভাই।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে আপনি একটি নতুন ধারার পথপ্রদর্শক।
আজ এই উদ্যোক্তার জন্মদিনে আমার নিজের, আমার ক্লাব ঢাকা গোল্ডেন সিটি ও ডিস্ট্রিক্ট ব্রেস্ট ক্যান্সার কমিটির পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।