বিনোদন প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : মাইনুল আহসান নোবেল। ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্রে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন এই সঙ্গীতশিল্পী। বিতর্কিত কাণ্ডের জেরে নোবেলের সঙ্গে থাকেন না তার স্ত্রী।
নোবেলের সঙ্গে নিজের দাম্পত্যের বিষয়ে সালসাবিল বলেন, ‘আমরা বিবাহিত কিন্তু একসঙ্গে থাকি না। মাদক সেবন, নারীঘটিত কারণেই মূলত নোবেলের সঙ্গে থাকি না। একের পর এক এরকম ঘটনা হলে একজন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। মাদক বা নারীর প্রতি নোবেলের আসক্তি যে পর্যায়ে গেছে তা এখন আর কারো অজানা নয়। সবকিছু সবার সামনেই ঘটছে।’
এর আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নোবেলের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সালসাবিল লিখেছেন, 'এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত, যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ব প্রমাণের মাপকাঠি। এমনকি যে দেশে একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী নিরাপদ না। গোপনে ধারণকৃত পার্সোনাল মোমেন্টের ভিডিও দিয়ে স্ত্রীকে খুব সহজেই ব্ল্যাকমেইল করে রাখা যায় এবং তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইমও অবহিত।'
এদিকে গেলো বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে বান্দরবানে ঘুরতে গিয়েছেন নোবেল। তার সফরসঙ্গী হয়েছেন এক নারী। ওই নারীর সঙ্গে রুমা বাস স্টেশন এলাকার গার্ডেন সিটি নামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছেন তিনি। হোটেলে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন নোবেল। বান্দরবানে যাওয়ার পরদিন (২৬ আগস্ট) সেখানকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন তারা। এ সময় নোবেলকে প্রকাশ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করতে দেখে স্থানীয়রা।
এখানেই শেষ নয়, মধ্যরাতে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে মদ্যপ অবস্থায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। তাকে শান্ত করতে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে হোটেলের অন্য এক অতিথি তাকে থামানোর চেষ্টা করলে নোবেল তাকে লাঞ্ছিত করেন। অতঃপর কোন উপায় না পেয়ে রাত ৩টা নাগাদ গার্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের মালিক মো. জাফর বাধ্য হয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ এসে নোবেলকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে নিজ থেকেই ভোরবেলা রুমে চলে যান তিনি।
জানা যায়, নোবেলের বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। বেআইনি কিছু করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীকে নিয়ে খবরের শিরোনামে এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের ২৮ জুন নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’ কিন্তু স্ট্যাটাস দেয়ার দুই দিন পর অর্থাৎ ৩০ জুন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছেন, তিনি সন্তানসম্ভবা নন। সে সময় এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ