মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মরার পর কী জবাব দেবেন?

সোমবার, আগস্ট ৩০, ২০২১
মরার পর কী জবাব দেবেন?

মাহবুব কবির মিলন :

মেডিকেল বা প্যাথলজি সেন্টারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা তদারকি বা অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট বা কেমিক্যাল পেল। অবশ্যই জঘন্য অপরাধ। এতে হয়ত অনেক রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসবে না। ভুল রিপোর্টের জন্য রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে হয়ত মারা গেল।

এটিকে আমরা ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে হত্যাও বলতে পারি। এই হত্যার জন্য দায়ী ঐ ল্যাব বা প্যাথলজি সেন্টার কিংবা মেডিকেল। অর্থাৎ মালিকপক্ষ এবং পরিচালনার সাথে যারা জড়িত আছেন, তারা সবাই।

মালিক অবশ্যই এর দায় এড়াতে পারেন না। কেননা তার দায়িত্ব এটা দেখা যে, সেখানে রি-এজেন্ট বা কেমিকেল ঠিক আছে কিনা এবং যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কিনা।

কাজেই ভুল রিপোর্টের কারণে কেউ মারা গেলে সেই মৃত্যুর জন্য এরা সবাই দায়ী।

আর এক গ্রুপ দায়ী। এটা ভেরি ভেরি ইন্টারেস্টিং। 

এই অপরাধ ধরা পড়ার পরে কোনো শাস্তি না দেয়ার জন্য বা সেখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য অভিযান পরিচালনাকারীদের যারা ফোনে চাপ দিয়েছেন, তদ্বির করেছেন, তারাও সেই হত্যা বা মানুষের ক্ষতির জন্য দায়ী হবেন।

আল্লাহপাকের কাছে, কবরে কী জবাব দেবেন? মানুষের হক নষ্ট করার মাফ কখনোই পাবেন না। এখন হয়ত আমরা অনেক বড় বড় কর্মকর্তা বা বিশাল পদবি আমাদের। আল্লাহর কাছে কোনো মাফ নেই।

ভেজাল বা নকল খাবার ধরা পড়ার পর শাস্তি না দেয়ার জন্য তদ্বির করলেন। অপরাধী পার পেয়ে গেল। ঐ খাবার খেয়ে যদি কারো ক্ষতি হয়, ইভেন পেট খারাপও হয়, তার জন্য তদ্বিরকারীও দায়ী হবেন। কোনো মাফ নেই। 

বেশ কিছুদিন আগে এক সংস্থার অভিযানে প্যাথলজি সেন্টারে বিপুল সংখ্যক মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট ধরা পড়ে। চাপের কারণে বেচারা পারেনি কোনো শাস্তি দিতে। বের হয়ে আসতে হয়েছিল তাকে। ফোনে রীতিমত কাঁদতে কাঁদতে বললেন, স্যার চাকুরি ছেড়ে দেব। এতবড় অপরাধ করতে পারব না। আল্লাহর কাছে কী জবাব দেব!! 

হ্যালো তদ্বিরকারীরা। উপরে কেউ আছেন না নেই? আপনারা কী অমর? দেহটা কী পচে গলে যাবে না? সেই পচা দেহ থেকে কী সুগন্ধি বের হবে!!

হ্যাঁ, আমি কখনো অন্যায় তদ্বির শুনিনি। চাপ তোয়াক্কা করিনি। অন্যায় আবদার বা হুমকি, পাত্তাও দেইনি। জীবনে একটিও অন্যায় তদ্বির করিনি। কেউ তা বলতে পারবে না। 

আল্লাহপাক স্বাক্ষী। তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক। কঠোর শাস্তিদাতা। কারো ক্ষতির দায় নিয়ে মরতে পারব না। নেভার এভার।
আপনাদের হয়ত আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়ার কোনো গ্যারান্টি পেয়েছেন। আপনারা এই কাজ করতেই থাকুন। কে মরে মরুক। কোনো সমস্যা নেই। 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল