নুসরাত জাহান: স্নাতক শিক্ষা জীবনের প্রথম পরীক্ষা সবার মাঝে ছিল অন্যরকম খুশির আমেজ। কেউ কেউ একটু ভয় পাচ্ছিল, তারপরও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে এতেই সবাই খুশি।
আজ শনিবার (২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ১ম বর্ষের পরীক্ষা। সত্যিই এটা ছিল স্বপ্নের মতো। কারণ করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। অনেকে ভেবে নিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো হয়তো আর খুলবে না। তাদের পড়ালেখা হয়তো এখানেই শেষ। সবকিছুকে অতিক্রম করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে তার কার্যক্রম গুলো শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন পরে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে যেয়ে জানায়, প্রস্তুতি নেয়ার খুব একটা সময় না পাওয়া সত্বেও তারা খুশি যে তাদের পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।
প্রশ্নপত্রের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশ্ন খুব বেশি কঠিন হয়নি তবে এতদিন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে থাকায় এবং চর্চা না থাকায় তারা খুব বেশি লিখতে পারেনি। তবে প্রশ্নপত্র যথেষ্ট সহজ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ছিল।
পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা যায় এক শিক্ষার্থী কিছুদিন আগে সিঁড়ি থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে যায়। সেও তার অভিভাবকের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এতে করে বোঝাই যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা দিতে চায় এবং তারা কতটা আগ্রহী এবং প্রত্যাশিত এ ব্যাপারে।
পাশাপাশি অনেকদিন পর শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করতে পেরেও খুশি ছিল। মনে হচ্ছিল ক্যাম্পাসের সেই রঙিন দিনগুলো আবারো ফিরে এসেছে। প্রতিটি ক্যাম্পাস ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ।
শিক্ষার্থীরা আশারাখে, এভাবে শান্তিপ্রিয়ভাবে যেন তারা সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ঢাবি কর্তৃপক্ষ অবশ্যই যেন সঠিক সময়ে তাদের ফলাফল প্রকাশ করে।
সময় জার্নাল/এমআই