জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তোলার আগেই কিনতে হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ফরম। আর প্রতিটি ফরম ১০ হাজার টাকা করে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত বাবুর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ৩ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তারা হাইব্রিড আওয়ামী লীগার/আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী, বিভিন্ন অপরাধের সাথে জরিত ও মাদকের সাথে জরিত এমনও অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলে রয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। গত ১৪ অক্টোবর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয় ফরম বিক্রি। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীতার জন্য মোট ৪৮জন দলিয় ফরম কিনেছেন ১০ হাজার টাকা করে। এর মধ্যে ফরম জমা দিয়েছেন ৪৭ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, এ ধরনের সিস্টেম কোথাও নেই। কিন্তু বালিয়াডাঙ্গীতে এভাবে ফরম বিক্রি করা হচ্ছে। ১০ হাজার টাকার নিচে কাউকে ফরম দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ৫নং দুওসুও ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ১০ হাজার টাকায় ফরম কিনেছি। সেই টাকা নাকি অফেরৎযোগ্য। আমার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয় নাই।
ফরম বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত বাবু বলেন, দলের ফান্ড গঠন করতে হবে। উপজেলায় আওয়ামী লীগ অফিস নির্মানের জন্য সকল প্রার্থীরা নিজ ইচ্ছায় টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, টাকা দেয়া ও নেয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে টাকা নেওয়া হলে, যে নিবে তাকে সেই দায়ভার গ্রহন করতে হবে।
সময় জার্নাল/এলআর