নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর দিকে হিমালয় অঞ্চল থেকে শীত নামানো হাওয়া ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষ কিংবা নভেম্বরের শুরুতে শীত পড়তে শুরু করবে।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বছরের মতো বিদায় নিলো বর্ষা। তাপমাত্রাও কমে গেছে। পায়ের কাছে কাঁথা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছেন নগরবাসী। সন্ধ্যারাতে প্রয়োজন না হলেও শেষ রাতে পায়ের কাছের কাঁথা উঠে যাচ্ছে গায়ে। ঘুমের আড়ষ্টতা নিয়েই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে ফ্যান।
গ্রামেগঞ্জে শীতের সঙ্গে সঙ্গে সকালে ঘাসের ডগায় শিশির জমছে। কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশার সঙ্গে যেন উঁকি মারছে শীত। প্রকৃতিতে এখন এমনই ঋতুবদলের আয়োজন। দোকানিরা শীতের পোশাক উঠাতে শুরু করেছেন। নগরের পথের ধারে দেখা মিলছে শীতের পিঠা-পুলির দোকানের।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, কাল-পরশু চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশ আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্কই থাকবে। তিনি বলেন, এখন ধীরে ধীরে উত্তর দিক থেকে শীতের হাওয়া আসতে শুরু করবে। ইতিমধ্যে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের হাওয়া চলে এসেছে, হালকা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে।
'এখন শেষ রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আপাতত আর বৃষ্টির না হলেও ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতেই থাকবে।'
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মধ্যে পটুয়াখালী এবং কক্সবাজারে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর