ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী :
রিপোর্টটা দেখে আমি জাস্ট থমকে গেলাম। আমি জানি কয়েক ঘন্টার মধ্য বাাংলাদেশ এর পুরো ডাক্তার সমাজ,, বিশেষত নারী ডাক্তারগণ, এমনকি বাাংলাদেশ এর পুরো নারী সমাজ হাজারো বিষ বাক্যবানে জর্জরিত হবেন। কেন হবেন? আপনার কিছু ভুল পদক্ষেপ এর কারণে।
ডাঃ তৃনা ইসলাম।। বুদ্ধিদীপ্ত। মেধাবী।অপরূপ সুন্দরী। এবং ডেফিনেটলি আমি আপনাকে স্মার্ট বলতে চাচ্ছি,, কিন্তু পারছি না। ডেফিনেটলি আপনি ইমোশনাল, হয়ত হাই এমবিসাস এন্ড ভীষন আনস্মার্ট।
ফেসবুকে আমার বহুল পঠিত, শেয়ারকৃত একটা লেখা আছে, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে নারী তুমি প্রস্তুত?"
আপনি ভীষন ভীষন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আপনি সংবাদ সম্মেলন করে লোক ডেকে নিজেই নিজের,সাথে হওয়া অন্যায় বা অমানবিকতার বর্ননা দিয়েছেন এবং মামলার প্রস্তুুতি নিয়েছেন।
আপনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মতো প্রথম সারির মেডিকেল কলেজের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী।
একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ এর বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ,আপনি একাত্তর টিভির নিউজ প্রেজেন্টার।
আপনি বিবাহিত শাকিল আহমেদ এর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। তিনি আপনাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখান.. থামেন থামেন।
প্রলোভন?
শিশু আপনি?
রেডিওলোজী তে এজ ডিটারমাইন করতে গিয়ে চার বছরের পাপিয়াকে পাশের চেয়ারম্যান বাড়ীর কাজের ছেলে গোঁট্টাগাট্টা মোতালেব যেমন চকোলেট আর পেয়ারার প্রলোভন দেখিয়ে এতটুকুন শরীরটাকে ছিন্নভিন্ন করেছিলো,, তেমন??
আপনি শিক্ষিত, মার্জিত।। কি লোভে আপনি প্রলোভনে পরলেন? তিনি একজন প্রভাবশালী নারী সাংবাদিক এর হাজব্যান্ড। কিভাবে তিনি আপনাকে বিয়ে করবেন বলে আপনি বিশ্বাস করলেন?
এটা সত্য। মিডিয়ার হাতছানি মারাত্মক।কিন্তু ক মাস আগে মুনিয়ার করুন পরিনতি দেখেননি? এদেশে নির্বোধ নারীরা ঘরে বাইরে কেবল সেক্স অবজেক্ট, জানেন না?
সাতমাসের অনৈতিক সম্পর্কে আপনি আপনার শরীরে শাকিলের সন্তান কে কেরী করেছেন। শাকিলের কারনেই আবার সন্তান কে এবোর্ট করেছেন বা করতে বাধ্য হয়েছেন।আপনি সরকারী চাকুরী জীবী।রোগতত্ত্ব ইনিষ্টিটিউড/আই ই ডি সি আর এর চিকিৎসক।উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেলেন।বাচ্চা এবোর্ট করতে দেশে এলেন।চাকরী হারালেন।
এই মুহুর্তে আপনি নিঃস্ব।।
আপনার এত চমৎকার একটা ক্যারিয়ার।
আপনি সন্তানহারা মা।চাকরী,ক্যারিয়ার হারা চিকিৎসক।সম্মানহারা নারী।
ফ্লাশ ব্যাকে সেই দিনে যান যেদিন আপনি নিউজ প্রেজেন্টার হতে শাকির আহমেদ এর অফিসে গিয়েছিলেন।
একে একে আপনি তাকে সব দিয়ে নিঃস্ব হলেন।
জীবন মুভি না।আপনি পিংক মুভির নায়িকা না।আপনার পাশে কোন অমিতাভ বচ্চন নাই।
এটা বাংলাদেশ। প্রচুর নারী চিকিৎসক এখন টুকটাক মিডিয়াতে কাজ করে।
আমি নিজে বাাংলাদেশ বেতার, টিভিতে কাজ করি।সরকারী প্রোগ্রাম এবং ক্যাম্পাস প্রোগ্রামে এংকরিং করি। ততটুকু করি যতটুকু আমার যোগ্যতা।যতটুকু করার পর বড় বড় চেয়ার হোল্ডার স্যার ম্যাডামরা বলেন,মেয়েটা মেধাবী,কালচারাল,,রেসপেক্ট এর চোখে তাকান। যোগ্যতার বেশী স্বপ্ন দেখে হোঁচট খাওয়া পাপ।
তোমার ব্যাক্তিগত জীবন অবশ্যই তোমার। তোমার বন্ধু নির্বাচন,,সময় কাটানো ডেফিনেটলি তোমার অধিকার। কিন্তু একজন বিবাহিত পুরুষের বিয়ের প্রলোভনে তার শয্যাসঙ্গিনী হয়ে অশিক্ষিত, লুজারদের মত কান্নাকাটি করবা, লোক হাসাবা,, পেশাকে অপমানিত,,ক্যাম্পাস কে অবনমিত করবা।
এই অধিকার তোমার নাই।। আধুনিক হও।। ম্যাচিওর হও। একজন চিকিৎসক হিসেবে, নারী হিসেবে তোমার প্রতি সহমর্মিতা। তোমার বিচার প্রাপ্তির এই যুদ্ধে আকণ্ঠ সমর্থন।
কিন্তু বাকী নারী,বাকী চিকিৎসকদের জন্য একটাই বার্তা। লোভী হয়ো না। বিপদ জেনে সাহস থাকলে গঙ্গায় ঝাঁপ দাও। কিন্তু স্বেচ্ছায় লোভে পড়ে ঝাঁপ দিয়ে বলবা, আমাকে প্রলোভন দেখিয়ে ঝাঁপ দেয়াইছে। এসব ন্যাকামি বলে সংবাদ সম্মেলন করো না। এটা বড় বিব্রতকর এবং পুরো নারী সমাজের জন্য অপমানজনক।
সত্যি বড় বেশী অপমানজনক।