তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। করোনাকালে স্বাস্থবিধি মেনে ভর্তিচ্ছুদের সাহায্যে, সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়ুয়া বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীর উদ্যোগে বসেছে ‘হেল্প ডেস্ক'।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১০ টায় শুরু হওয়া বাণিজ্য অনুষধের পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে তিতুমীরিয়ানদের এই হেল্প ডেস্ক বসে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলছে, বিভিন্ন জেলার ছাত্রকল্যাণ এর এই উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক সহায়ক ছিলো। আমাদের বিভিন্ন সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে তারা।
এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের জেলার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সক্রিয় ভাবে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর জেলার গৌরব, ঐতিহ্য ও সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন মানবিক সেবা প্রদান করে আসছি।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি ইঞ্জামাম বলেন, আমাদের ছাত্রকল্যাণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কাজ করা। আমরা বিভিন্ন সময় তাই করছি। তার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার সময়ে আমাদের জেলা থেকে আগত ছোট ভাই-বোনদের যে কোন সহযোগিতার জন্য আমরা এই হেল্প ডেস্ক বসিয়েছি।
"ইলিশের বাড়ী" তিতুমীরে একখন্ড চাঁদপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম.কে হাসান সবুজ বলেন, আমরা চাঁদপুর থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে এবং সার্বিক সহযোগিতায় থাকতে "ইলিশের বাড়ী" তিতুমীরে একখন্ড চাঁদপুর ছাত্রকল্যাণ প্রতিষ্ঠা করি ২০২০ সালে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের বানিজ্য বিভাগের ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় গতকাল রাত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোন যোক্তিক প্রয়োজনে পাশে ছিলাম।
আজ ভোর ৭ টা থেকে "ইলিশের বাড়ী" ছাত্রকল্যান পরিষদ বুথ গঠন করে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল, ব্যাগ,ঘড়ি,বই টোকেনের মাধ্যমে জমা রাখি সম্পূর্ণ ফ্রীতে।
আমরা মাস্ক বিতরণ করেছি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছি। সর্বোপরি তিতুমীর কলেজের ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের সামনের ৬ এবং ১৩ তারিখ যেকোন যোক্তিক এবং শিক্ষাসংক্রান্ত প্রয়োজনে পাশে থাকার অভিপ্রায় প্রকাশ করছি।
এছাড়াও তিতুমীর কলেজের অন্যান্য জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদগুলোকেও দেখা যায় নিজ জেলা থেকে আগত পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছেন।
এমআই