ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সফলতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুল।
‘মাদরাসার ছেলে‘ শিরোনামের ওই স্ট্যাটাসটি নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘মাদ্রাসার ছেলে (!)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসার ছাত্ররা ভালো করলেই একশ্রেনীর ইতর নানা কথা বলা শুরু করে। এই ইতরদের অভিযোগ মাদ্রাসার ছেলেরা ইংরেজীতে খুব খারাপ, এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হয় সেখানকার শিক্ষকদের প্রশ্নপত্রে, ইংরেজীতে একটা মিনিমাম নাম্বার না পেলে অধিকাংশ সাবজেক্টে কেউ ভর্তি হতে পারেনা। কাজেই ভর্তি পরীক্ষায় কোন সমস্যা থাকলে তার দায় শিক্ষকদের। মাদ্রাসার যারা সুযোগ পায় তারা ইংরেজীতে ভালো না - এই অভিযোগটিও ভুল। না হলে ইংরেজীতে তারা ফেল করেনা কেন?
আর মাদ্রাসার ছেলেরা বেশী সুযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হবে কেন? ক্যাডেট কলেজের ছেলেরা বেশী সুযোগ পেলে কি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর ক্যাডেট কলেজ হয়ে যায়?
এসমস্ত ঢালাও ও উদ্ভট অভিযোগ যারা বেশী করে, তাদের একজন ইংরেজীতে দুর্বলতার কারণে নিজেই তার পিএইচডি সম্পাদন করতে পারেনি। আরেক পন্ডিতের ইংরেজী শুনলে শ্রোতাই বিব্রত হয়ে যাবেন। আরেকজন গবেষনার নামে অনেক সময় চুরি করেছেন অন্যর লেখা থেকে।
এই ইতরদের কেউ কেউ মাদ্রাসা আর ইসলাম ধর্ম বিরোধীও। এদের কাছে প্রগতিশীলতা মানে হলো ইসলাম আর মাদ্রাসার অন্ধ বিরোধিতা।’’
সময় জার্নাল/এলআর