এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কিংবা দলীয় প্রার্থী বিরোধী প্রচারণার যুক্ত থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার ( ৬ নভেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মজিবুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের ওই ২১ নেতা ছাড়াও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের চারজন নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্ব স্ব সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই একই পত্রে।
আওয়ামী লীগ থেকে যাদের বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার রেজাউর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুজ্জামান ঠাকুর, আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা। এরা তিনজনই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় অপর যাদের বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ও ফজলুল মতিন বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মোল্লা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মোল্লা, সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মোল্লা, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম মাতুব্বর, খলিল মোল্লা ও আব্দুল আওয়াল মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মুন্সী, আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক জাকির হোসেন, গট্টি ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী মোল্লা, রামকান্তপুর ইউপি আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক সুজায়েদ হোসেন ওয়াদুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব তালুকদার, যদুনন্দী ইউপি আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আকরাম হোসেন, মাঝারদিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মিয়া, বল্লভদী ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুস মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম।
সহযোগী সংগঠনের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুল, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি খন্দকার সাইফুর রহমান শাহীন, যুবলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার শাহাজাহান সাজ্জাদ। সহযোগী সংগঠনের ওই চারজনের মধ্যে ইমারত হোসেন পিকুল ও খন্দকার সাইফুর রহমান শাহীন প্রার্থী হয়েছেন। বাকি দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই সুপারিশপত্রে বলা হয়, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধরাণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামানের নির্দেশক্রমে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলার সুপারিশপত্র আমাদের হাতে পৌছায়নি। তবে নেতৃবৃন্দ মৌখিকভাবে আলাপ করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সরাসরি কেন্দ্রে হয়তো সুপারিশপত্র পার্ঠিয়ে দিয়েছে।
সুবল চন্দ্র সাহা আরও বলেন, আজ রবিবার জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সালথা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করবে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহযোগীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তিতে এ ব্যাপারে সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত আগামী ১১ নভেম্বর ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৮জন প্রার্থীর বিপরিতে বিদ্রোহী ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে।
সময় জার্নাল/এলআর
