সময় জার্নাল প্রতিবেদক: করোনায় মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের পরিবারের সদস্যদের শোক ও মনঃকষ্ট লাঘবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কথা বলো কথা বলি’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকে পরিচালক (হাসপাতাল অফিস) এর কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও মনোরোগবিদ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল।
মনের খবর এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ। সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দীন কাউসার বিপ্লব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের স্বজনদের কষ্ট অন্যরা বুঝবেন না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো কোনো রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ক্রয়ে প্রচুর অর্থও ব্যয় করতে হয়েছে।
যারা স্বজন হারিয়েছেন, স্বজনের চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই করোনায় স্বজনহারানোদের মৃত্যুশোক ও মনঃকষ্ট লাঘবে সমবেদনা নিয়ে ওই সকল পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানো একটি মহৎকর্ম। করোনায় স্বজনহারানোদের বিনামূল্যে কাউন্সিলিং ও সাইকোথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ একটি জরুরি বিষয়। কারণ তাদের অনেকেই হতাশা ও বিষণ্ণতায় ভুগছেন। আবার যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন কিন্তু সুস্থ হওয়ার পরও পরবর্তীতে কারো কারো নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে। দিন দিন বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বেশিসংখ্যক মনোরোগবিদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এমআই